টুিঙ্গপাড়ায় পুরোনো আদলে ফিরছে বঙ্গবন্ধুর আদি পৈতৃক বাড়ি

বাংলাদেশ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিঃ মুবিবর্ষ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদি পৈতৃক বাড়িটি পুরোনো আদলে ফিরিয়ে আনার জন্য প্রায় ১ মাস আগে কাজ শুরু করেছে প্রত্নতত্ত্ব¡ অধিদপ্তর। ইতিমধ্যেই বাড়িটির দেয়াল থেকে পুরোনো পলেস্তারা সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এখন নতুন করে পুরোনো আদলে পলেস্তারা করা হচ্ছে। প্রত্নতত্ত্ব¡ বিভাগের উপপরিচালক আমিরুজ্জামান পলাশ ও সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আহমেদ কাজটি তত্ত¡াবধান করছেন। প্রত্নতত্ত্ব¡ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর আগে প্রত্নতত্ত্ব¡ বিভাগ বাড়িটি সংস্কার করে। এতে বাড়িটির পুরোনো আদলে বেশ পরিবর্তন আসে। পরে বাড়িটি পুরোনো আদলে ফিরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রত্নতত্ত্ব¡ বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর প্রতœতত্ত¡ বিভাগের প্রকৌশলীরা টুঙ্গিপাড়া এসে বঙ্গবন্ধুর পৈতৃক বাড়ির পুরোনো ছবি ও ভবনের নির্মাণশৈলী দেখে পুরোনো আদলে ফিরিয়ে দিতে একাধিক নকশা প্রণয়ন করেন। এগুলো পাওয়ার পয়েন্টের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখানো হয়। প্রধানমন্ত্রী ওই নকশার আদলে বাড়িটি সংস্কার করার অনুমতি দেন। সে মোতাবেক বাড়িটি পুরোনো আদলে ফিরিয়ে আনার নমুনা কাজ চলছে। এ নমুনা আবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হবে। তিনি সেটি দেখে অনুমোদন দিলেই চূড়ান্তভাবে কাজ করা হবে।

টুঙ্গিপাড়ার শেখ বাড়ির শেখ বোরহান উদ্দিন জানান, প্রায় সাড়ে ৩শ বছর আগে বঙ্গবন্ধুর পূর্বপুরুষ জমিদার শেখ কুদরতউল্লাহ টুঙ্গিপাড়ায় এ বাড়িটি নির্মাণ করেন। এ বাড়ি তখন অঞ্চলের মধ্যে অনন্য স্থাপত্যশিল্প হিসেবে পরিগণিত হতো। অন্যান্য অঞ্চল আগত মানুষেরা বাড়িটির নির্মাণশৈলী দেখে মুগ্ধ হতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব থেকে শুরু করে জীবনের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই বাড়ির সঙ্গে। দীর্ঘ দিন বাড়িটি জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল। বর্তমানে টুঙ্গিপাড়া গ্রামের সভ্রান্ত শেখ পরিবারের ঐতিহ্যবাহী এ বাড়িটি দেখতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ আসেন। তারা বাড়িটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। শেখ পরিবারের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে পারেন। বাড়িটি পুরোনো আদলে ফিরে এলে আরো আকর্ষণীয় ও দর্শনীয় হবে বলেও জানান তিনি।

শেখ পরিবারের সদস্য ও টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র শেখ আহম্মেদ হোসেন মির্জা “প্রতিদিনের সংবাদকে” বলেন, এই বাড়িটি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত। এই বাড়িতে বসে বঙ্গবন্ধু শালিস বিচার করতেন। এই পৈতৃক বাড়িতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বিবাহ করেন। টুঙ্গিপাড়া এসে সমবয়সীদের নিয়ে গল্প করতেন শেখ মুজিব। তাই সাড়ে ৩শ্#৩৯; বছরের পুরোনো এ বাড়ি আদি রূপে ফিরলে নতুন প্রজন্মের কাছে জাতির পিতার পরিবারের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরবে। এছাড়া এই বাড়িটি দ্রুত সংস্কার করে সেখানে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি সংরক্ষন করার দাবিও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.