রাজধানী ঢাকার রামপুরা ব্রিজের নিচে ফুটপাত দখল করে কনস্ট্রাকসন গ্রুপের কাজের নামে করা একটি টিনের ঘর দেখে তা নিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন হাইকোর্টের আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন।
আজ পহেলা মে তারিখে দুপুর আড়াইটার দিকে ব্যারিষ্টার সুমন তার ফেসবুক পেজে লাইভটি করেন এবং ফুটপাত দখল করে তৈরি করা টিনের ওই ঘরের ক্ষতি সম্পর্কে বলেন। যেখানে তিনি দেখান, ব্যাস্ততম ওই সড়কের ফুটপাত দখল করে কিভাবে মানুষের চলার পথে বাধা তৈরি করা হয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যায় ব্যারিষ্টার সুমন সেখানে অবস্থান করা একজনের সাথে কথা বলেন যিনি নিজেকে “এসএম কনস্ট্রাকশন” গ্রুপের শ্রমিক হিসেবে পরিচয় দেন এবং তিনি দাবি করেন সেখানে ওভার ব্রিজের জন্য ওই ঘর তৈরি করা হয়েছে। তবে ফুটপাত দখল করে ওই ঘর তৈরির যৌক্তিকতা কী তা জিগেশ করলে সে ব্যক্তি কোনো জবাব দেননি।
ফেসবুকে ওই লাইভটি চার ঘন্টায় প্রায় সাতলক্ষ মানুষ দেখেন এবং লাইভ করার দুই ঘন্টার মাথায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই ঘর সরিয়ে নেয় যা ব্যারিষ্টার সুমন তার ফেসবুক ওয়ালে প্রকাশ করেছেন। ভেঙ্গে ফেলা ঘরের কয়েকটি ছবি সংযুক্ত করে তিনি লিখেন, “লাইভ করার ২ ঘন্টার মধ্যে রামপুরা ব্রীজের ফুটপাতের উপর নির্মিত ঘর সরিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের। আপনারা আর আমরা মিলেই গড়ব বাংলাদেশ”
লাইভ করার দু ঘন্টার মাথায় কর্তৃপক্ষ ঘরটি সরিয়ে নেয়। ছবি : ফেসবুক
প্রসঙ্গত : ব্যারিষ্টার সুমন সারাদেশে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন অসঙ্গতিগুলো চোখের সামনে নিয়ে আসছেন সবার। সমস্যাগুলো তিনি ফেসবুক লাইভে প্রকাশ করে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে থাকেন। এ পর্যন্ত বেশ কিছু সমস্যারও সমাধান করিয়েছেন তিনি। পুরান ঢাকায় এক ময়লার ভাগাড় নিয়ে লাইভ করে সেটিকে সরানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনি। সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে নিজ উদ্যোগে নির্মান করছেন কাঠের ব্রিজ বা সাঁকো। অনেকেই বলেন, এ সকল অসঙ্গতি ব্যারিষ্টার সুমনের চোখেই পড়ছে। দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত আইনজীবী যিনি কি না বসে থাকার কথা কোনো এসি রুমে বা আদালতপাড়ায় সেই তিনি যেখানেই কোনো অসঙ্গতি দেখেন সেখানেই নিজ থেকেই এর ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ছুটে যান। তার এইসব কাজ যুব সমাজকে প্রচুরভাবে উদ্বুদ্ধ করছে সামাজিক কাজকর্মসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করতে। নিজ উদ্যোগে তারা অনেকেই এখন এসব কাজ করছেন