শাহীন সুলতানা কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
গত ৩১ ডিসেম্বর মঙ্গলবার অনলাইন নিউজ পোর্টাল পিপলস নিউজ ২৪ ডটকম, দৈনিক প্রজন্ম ডটকম ও পল্লী শক্তি বার্তা ডটকম-এ “কুলিয়ারচরের ফরিদপুর মাজার প্রাঙ্গণে পাগলীকে মারপিট করে হাত-পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে, মানবতার ছায়াতলে কেন অমানবতা আর বর্বরতা?” শিরোনামে যেসব সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা আমার দৃষ্টি গোছর হয়েছে।
সংবাদগুলোতে আমার ছেলে মোঃ মিজান শাহ ও মোঃ লিটন মিয়াকে জড়িয়ে যে সংবাদগুলো প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। সমাজে আমাকে সহ আমার সন্তানদের হেয়প্রতিপন্ন ও মান-সম্মান ক্ষুন্ন করার হীনচক্রান্তে লিপ্ত হয়ে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় আমাদের বিরুদ্ধে সংবাদগুলো প্রকাশ করিয়েছে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়েছে অসহায় অনাহারী নারী পাগলকে বেধরক পিঠিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলার ফরিদপুর মাজার প্রাঙ্গণে। আর এসব ঘটনা ঘটিয়েছে উক্ত মাজারের মোতাওয়ালী মোঃ নজরুল ইসলাম কাজীর দুই পুত্র মোঃ লিটন মিয়া ও মোঃ মিজান শাহ। ঘটনার পর স্থানীয়রা গুরুতর আহত ওই পাগলীকে উদ্ধার করে নিয়ে নরসিংদী জেলার একটি হাসপাতালে ভর্তি করেছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে। সংবাদে মারধোর কারীদের নাম ঠিকানা স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হলেও আহত পাগলীর নাম ঠিকানা কিংবা কারোর কোন অভিযোগের কথা উল্লেখ্য করা হয়নি। এ ছাড়া কবে কখন পাগলীকে বেধরক পিটিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়নি। এমনকি সংবাদে আহত পাগলীকে নরসংদী জেলার কোন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাও উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে কেউ কোথাও অভিযোগ করেনি। এমনকি যে সাংবাদিক এ সংবাদটি লিখেছে সেও ওই পাগলীকে চিনে বলে আমার মনে হয়না। একটি কুচক্রী মহল প্রতিহিংসা বসত মনগড়া ঘটনা সাজিয়ে ওই সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্য দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে সাংবাদিককে দিয়ে যোগাযোগ মাধ্যমে এসব সংবাদ প্রকাশ করিয়ে সমাজে আমাদের মানহানী ঘটিয়েছে । এতে করে মাজারের ভক্তদের মনে একটি বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেননা উক্ত মাজার প্রাঙ্গণে পাগলীকে মারপিটের কোন ঘটনা আদৌ ঘটেনি। আমি প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোঃ নজরুল ইসলাম কাজী
মোতাওয়ালী
হযরত মাও: আবু আলী আক্তার উদ্দিন শাহ কলন্দর,
ফরিদপুর মাজার শরীফ
কুলিয়ারচর , কিশোরগঞ্জ।