কুমিল্লায় সেরা ইউএনও অভিষেক দাশ, শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় টনকী

কুমিল্লা বাংলাদেশ

মোঃ রাসেল মিয়া, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখায় জাতীয় শিক্ষা পদক-২০১৯ উপলক্ষে জেলার ১৭টি উপজেলার মধ্যে ১৭টি ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে কুমিল্লা জেলার সেরা ইউএনও নির্বাচিত হয়েছেন মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ ও চতুর্থবারের মত শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) জেলা বাছাই কমিটির সভাপতি ও কুমিল্লা জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর নির্বাচিত সেরাদের তালিকা প্রকাশ করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের ঘোষিত মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, লাইব্রেরী, সততা স্টোর, মহানুভবতার দেয়াল, ল্যাংগুয়েজ ক্লাব, সু-সজ্জিত শ্রেণীকক্ষ, ফুলের বাগান, দৃষ্টিনন্দন পরিবেশ, আমার বিদ্যালয় আমি পরিস্কার রাখি, মায়ের দেয়া খাবার খাই এই ১০টি উদ্যোগ বাস্তবায়নে বিশেষ অবদানের জন্য মুরাদনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশকে সেরা ইউএনও নির্বাচিত করা হয়।

অপরদিকে একটি আদর্শ ও শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাক্-প্রাথমিকে শ্রেণীকক্ষ সাজানো, বিদ্যালয়ের আঙিনায় বাগান সৃজন, শিক্ষকদের উন্নত পাঠদান, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার, নিয়মিত খেলাধুলা, শিক্ষকদে নৈমিত্তিক ছুটি ও পরীক্ষায় ভালো ফলাফল বিবেচনায় নিয়ে টনকী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সেরা নির্বাচিত করা হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফওজিয়া আকতার বলেন, বিদ্যালয়ের কর্মকান্ড বিবেচনা করে জেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ঘোষণা করা হয়ে থাকে। টনকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়ের সব শর্ত পূরণ করেছে। জানা যায়, গাজীউল হক চৌধুরী টনকী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্যালয়টি শিক্ষা, সাংস্কৃতি ও ক্রীড়া অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ১৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ৮১০জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান দিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবছর সমাপনি পরীক্ষায় এ বিদ্যালয় থেকে উপজেলায় সর্বোচ্চ জিপিএ-৫ ও বৃত্তিসহ শতভাগ শিক্ষার্থী সাফল্যের সাথে কৃতকার্য হয়ে আসছে।

প্রধান শিক্ষক গাজীউল হক চৌধুরী জানান, এ বিদ্যালয়টি চতুর্থবারের মত জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টি পরিচালনা করে আসছি। বিদ্যালয়ের পরিবেশ, সময়ানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা ও ফলাফল ছিল সন্তোষজনক। বিদ্যালয়টি আগামীতে বিভাগীয় ও জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিষেক দাশ বলেন, জেলা প্রশাসক মহোদয় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য ১০টি উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। আমরা এই উপজেলায় তা শতভাগ বাস্তবায়ন করেছি। প্রাথমিক শিক্ষা ও মুরাদনগর উপজেলার সার্বিক উন্নয়নে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি, একাজে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.