মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, বিশেষ প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। হামলায় নারীসহ ২জন আহত হয়েছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার রামদী ইউনিয়নের জগৎচর কলাকূপা গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
উপজেলার কলাকূপা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মোঃ শহিদ মিয়া (৩৫) অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত জমির সীমানা নিয়ে তাদের সথে একই বাড়ীর লিটন মিয়া (২০) ও রোকন মিয়া (২৫) দের বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। উক্ত বিরোধ নিয়ে প্রায় ৬ মাস আগে এলাকায় একটি গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি আপোষ মীমাংসা হয় এবং সালিশানগণ জায়গা মেপে সীমানা নির্ধারণ করে খুটি স্থাপন করে দিয়ে যায়। উভয় পক্ষ বিষয়টি মেনে নেয়। এতদিন কোন প্রকার যামেলা না করে বুধবার দুুপুর আড়াইটার দিকে প্রতিপক্ষ সীমানার খুটি তুলে ফেলে দেয়। এ নিয়ে কথা কাটা-কাটির এক পর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রাদিসহ লিটন ও রোকন আরও লোকজন নিয়ে শহিদ মিয়ার বাড়ীতে হামলা করে জিনিসপত্র ভাংচুরসহ নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায় এবং শহিদ মিয়ার স্ত্রী রুবি বেগমকে বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহানী ঘটায়। এ সময় বাধা নিষেধ দিতে গেলে হামলা কারীদের আঘাতে শহিদ মিয়া ও তার মা মোছাঃ ডিপ্টি বেগম (৬০) আহত হয়। আহতদের ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে হামলা কারীরা বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি দেখিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় মোঃ শহিদ মিয়া বাদী হয়ে ওই দিন বিকালে লিটন মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৬ জনের নামে কুলিয়ারচর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত রোকন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে, জমি সংক্রান্ত বিরোধের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলায় আমাদের পক্ষের এক জন আহত হয়ে ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে।
শহিদ মিয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা স্বীকার করে কুলিয়ারচর থানার কর্তব্যরত এস আই মোঃ নয়ন মিয়া বলেন, অভিযোগটি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।