লাগাতার কয়েক বছর কমার পর গেল অর্থবছরে বেড়েছে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের দাম। গেল অর্থবছরেই এ খাতের রপ্তানি আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি। উচ্চমূল্যের পোশাকের ক্রমবর্ধমান চাহিদা আর চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধের ডামাডোলে প্রবৃদ্ধির ধারা ধরে রাখতে অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করার তাগিদ উদ্যোক্তাদের। অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমানোর পাশাপাশি ব্যবস্থাপনাগত দক্ষতা বাড়াতে হবে উদ্যোক্তাদের।
১১ দশমিক ৪৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে গেল অর্থবছর শেষ করেছে দেশের তৈরি পোশাক খাত। এসময়ে খাতটির রপ্তানি আয় ৩ হাজার ৪১৩ কোটি ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪.৪২ শতাংশ বেশি।
পরিসংখ্যান বলছে, একই সময়ে দাম পড়তির চক্র থেকে বেরিয়ে এসেছে এই খাত। রপ্তানির পরিমাণ ও আয়ের হিসাবে প্রতি ইউনিট পোশাকের দাম বেড়েছে ১.৪২ শতাংশ। আবার চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে মার্কিন বাজারে এ খাতের আয় প্রবৃদ্ধি ১৫ শতাংশ, যা দেশটিতে পোশাক রপ্তানিকারকদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
ইউরোপের বাজারে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ শতাংশের কাছাকাছি, কানাডায় ২৪ শতাংশের বেশি, অপ্রচলিত বাজারে প্রায় ২৪ শতাংশ, এর মধ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ।
এমন অর্জনে এ খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র বিশ্লেষণ, উচ্চমূল্যের পোশাক তৈরিতে সক্ষমতা বেড়েছে উদ্যোক্তাদের। সেই সঙ্গে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে চীন-মার্কিন বাণিজ্যযুদ্ধ।
তবে, এই ধারা ধরে রাখতে আমলা ও উদ্যোক্তাদের সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করে বিজিএমইএ।
সংগঠনটির সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, কিছু ওয়ার্কিং গ্রুপ খুব দ্রুত করতে হবে। সকল জায়গাতে আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজার সক্ষমতা বাড়াতে সময় এসেছে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমানোর।
অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অন্যান্য প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় টাকা কিছুটা অধিমূল্যায়িত রয়েছে। এটা কমাতে হবে।
চলমান কারখানা সংস্কারের সুফল ঘরে তুলতে উদ্যোক্তাদের বাজার চাহিদা বিশ্লেষণে আরও মনোযোগ দেয়ার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।