আমার বিরুদ্ধে মামলা করে হিন্দুরা প্রমাণ করল যে তারা নির্যাতিত নন-ব্যারিস্টার সুমন

বাংলাদেশ

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কটূক্তি করার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (২২ জুলাই) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারক আস-শামস জগলুল হোসেনের আদালতে এ মামলা করেন গৌতম কুমার এডবর নামক রাজধানীর ভাষাণটেকের এক সমাজসেবক। দুপুরে কথা বলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলা করে হিন্দুরা প্রমাণ করল যে তারা নির্যাতিত নন। তারা বাংলাদেশে সুন্দর এবং শান্তিতে বসবাস করছেন। আমি আগেও বলেছি যে আমার ফেইক আইডি দিয়ে এমন মিথ্য প্রচার করা হয়েছে। আমি গত মাসে রাজধানীর শাহাবাগ থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমি বলতে চাই, আমার বিরুদ্ধে গৌতম কুমার এডবর যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটা করেছেন সেটা ভুল।

ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে এ মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুলাই ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন ফেসবুকে বলেন, পৃথিবীর মধ্যে নিকৃষ্ট এবং বর্বর জাতি হচ্ছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী, যাদের ধর্মের কোনো ভিত্তি নেই। মনগড়া বানানো ধর্ম। হয়তো দুই একটি খবর নিউজে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া আরও আনেক ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়, তাদের নৃশংসতার আড়ালে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ১৯ এপ্রিল সনাতন ধর্ম ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে মিথ্যা, অশ্লীল চরম আপত্তিকর মন্তব্য করেন। যার ফলে হিন্দু সমাজ তথা গোটা জাতির মধ্যে এ বিষয় নিয়ে চাঁপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। আসামির এরকম আচরণ এবং সোস্যাল মিডিয়ার অশ্লীল অবমাননাকর ও অরুচিপূর্ণ বক্তব্যর ফলে রাষ্ট্র ও হিন্দু সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এবং ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। আসামির এ ধরনের উসকানিমূলক বক্তব্য প্রধানের ফলে সাধারণ জনগণ নীতিভ্রষ্ট, অসৎ হইতে উদ্ধত হওয়ায়র ফলে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন হওয়ার সম্ভবনা আছে।

কিন্তু এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সুমন আগে থেকেই বলে আসছেন তার এই ফেসবুক আইডিটি ফেক। তিনি গত ২০ জুলাই তার ভেরিফাইড ফেসবুকে লিখেন, ‘আমার নাম ব্যাবহার করে একটি ফেক পেজ হিন্দু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে বিষেদগার করছে। আমি এ বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছি। আপনারা সচেতন থাকবেন। এটাই আমার একমাত্র পেজ যার ফলোয়ার ২০ লাখের অধিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.