ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল। মামলার বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ সোমবার এ আদেশ দেয়া হয়। আগামী ১৭ জুন পরোয়ানা তামিল সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তদন্তকারী কর্মকতাকে বলা হয়েছে।
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। আদালত সেই ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয় পিবিআইকে।
পিবিআই তদন্ত করে যে প্রতিবেদন দাখিল করে তাতে প্রাথমিক ভাবে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে।ফলে আগামীকাল সোমবার এই মামলার পরবর্তী তারিখে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা চাইবেন ব্যারিস্টার সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন নুসরাতের অনুমতি ছাড়া তার রুমে বসে ভিডিও করেছিলেন। আমরা এই অভিযোগে সাইবার ট্র্যাইবুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে তার বিরুদ্ধে তিনটা সেক্সনে মামলা দায়ের করি।
এই মামলার তদন্ত ভার ছিলো পুলিশ ব্যারো অব ইনভেস্টিগেশনে(পিআইবি) কাছে। তারা প্রায় এক মাস পরে আজকে তদন্ত তিবেদন আদালতে দিয়েছেন। তাতে তারা বলেছেন প্রাথমিক ভাবে তিনটি অভিযোগই প্রমানিত হয়েছে।
আগামী কাল এই মামলার তারিখ আছে।যেহেতু প্রাথমিক ভাবে প্রমানিত হয়েছে। তাই আমরা ওই তদন্ত প্রতিবেদন সামনে রেখে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা চাইবো।
এই তদন্তের পরে ওসি মোয়াজ্জেমের নিতিক কোনো সক্ষমতাই নেই পুলিশে চাকরি করার। গ্রেফতারী পরোয়ানার মধ্য দিয়ে তাকে যদি আটক করা হয়, তাহলে আমি মনে করি পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ইজ্জত অনেক বাড়বে। কলঙ্কমুক্ত হবে।
একই সাথে তিনি পিবিআইকে ধন্যবাদ জানান সঠিক তদন্তের জন্য। তিনি বলেন, ওসির রুমটাই যদি নিরাপদ না হয় তাহলে বাংলদেশে আর কোন জায়গা নিরাপদ হবে। আমি মনে করি একটা মামলা না। ওসি মোয়াজ্জেমের মাধ্যমে একটা সিম্বলীক ব্যাপার।সূত্র:- bangladeshtoday