সারা বছর খেটে খুটে আর মাত্র কদিন বাদেই, ঈদ উদযাপনে নদীপথে বাড়ি ফিরবেন দক্ষিণ জনপদের প্রায় অর্ধকোটি মানুষ। আর তাই পুরনো লঞ্চগুলো নতুন করে প্রস্তুত করার তড়িঘড়ি ডকইয়ার্ড এলাকাজুড়ে।
বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ পাড়ের ৩৩টি ছোটবড় ডকইয়ার্ডের প্রত্যেকটিতেই এখন তুমুল কর্মব্যস্ততা শ্রমিকদের। বিভিন্ন আকৃতির জরাজীর্ণ এসব লঞ্চে হালকা ও ভারী সংস্কার কাজের পাশাপাশি চলছে, কেবিন বাড়ানোর কৌশলও।
একজন লেবার বলেন, লঞ্চের সঙ্গে সঙ্গে কেবিনও বাড়াতে হয়। যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় কেবিনেরও সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
যদিও ডকইয়ার্ড ও লঞ্চমালিকদের দাবি, নিয়ম মেনেই নকশা পরিবর্তন করা এসব নৌযান মোটেও ফিটনেসবিহীন নয়।
লঞ্চমালিক একজন বলেন, যে জাহাজ অকেজো হয়ে যায় সেগুলো চলে কিভাবে? এসব বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য।
আরো পড়ুন ক্ষমতায় ফিরছে বিজেপি?
৩০ মে থেকে ঈদযাত্রার জন্য ২১৫টি লঞ্চ এবার নৌপথে থাকবে বিআইডব্লিউটিএ’র হিসেবে। এরমধ্যে ডকইয়ার্ডে সংস্কারে থাকা প্রায় ৫০টি লঞ্চ যথাযথ পরীক্ষা নিরীক্ষার পরই নৌপথে নামবে বলে জানায় অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক আলমগীর কবির বলেন, নৌযানের কাগজপত্র নিয়ে আমাদের ইনস্পেক্টরদের কাছে পারমিশন নিতে যাবে। ফিটনেস না থাকলে এখান পর্যন্ত আসা সম্ভবই না।
ঝড়ের মৌসুমে ঈদের কথা মাথায় রেখেই এবার ফিটনেসবিহীন নৌযান চলাচল বন্ধে বাড়তি তৎপরতার প্রস্তুতি রয়েছে কর্তৃপক্ষের। সূত্রে:- সময় টিভি