ঋণখেলাপিদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধ-সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা’র ওপর আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত ‘স্থিতাবস্থা’ বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এফএম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরে খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জারি করা ওই সার্কুলারকে আদালত ‘দুষ্টের পালন, শিষ্টের দমন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
প্রসঙ্গত গত ১৬ মে সন্ধ্যায় ‘ঋণ পুনঃতফসিল ও এককালীন পরিশোধ-সংক্রান্ত বিশেষ নীতিমালা’ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে যারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শোধ করছেন না, তাদের জন্য বড় সুবিধা চালু করা হয়।
বকেয়া ঋণের ২ শতাংশ টাকা জমা দিয়েই তারা ঋণ নিয়মিত করতে পারবেন। এতে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ। আর এক বছরের ঋণ পরিশোধে বিরতিসহ ১০ বছরের মধ্যে বাকি টাকা শোধ করতে পারবেন। আবার ব্যাংক থেকে নতুন করে ঋণও নিতে পারবেন।
আর যারা এক বছরের মধ্যে ঋণ শোধ করে দিতে চান, তাদের জন্য রয়েছে বড় ছাড়। তারা চাইলে তহবিল খরচের সমান সুদ দিয়েই বাকি টাকা শোধ করতে পারবেন। বর্তমানে ব্যাংকগুলোর তহবিল খরচের হার সাড়ে ৭ থেকে ৯ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ঋণ বিরূপভাবে খেলাপি হয়ে পড়ায় ঋণ বিতরণ ও আদায় কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। উৎপাদনশীল খাতে স্বাভাবিক ঋণপ্রবাহ বজায় রাখতে ও খেলাপি ঋণ আদায়ে এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, যেসব ঋণ মন্দ বা ক্ষতিজনক, মানে খেলাপি হয়ে পড়েছে, সে ক্ষেত্রে এ সুবিধা দেয়া হবে।
Reporter:-Mohammad kayum