মোঃ আলাউদ্দিন: কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় ফকির আব্দুল বাছেদ (৫৫) নামের এক ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের শিবনগর বটতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত বাছেদ মিয়াকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দীর্ঘদিন ধরে ফকির আব্দুল বাছেদের পরিবারের সঙ্গে আলেক মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরোধ চলে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে,এই বিরোধের জেরে আলেক মিয়া ও তার সহযোগীরা হামলার পরিকল্পনা করে। ওইদিন সকালে বাছেদ মিয়া তার স্টেশনারি দোকানে বসে কাজ করছিলেন। এ সময় আলেক মিয়ার নেতৃত্বে ছয়জন ও আরও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি দোকানে প্রবেশ করে। তারা রামদা,গিয়ার চাকু, চাইনিজ কুড়াল,লোহার রড ও হকি স্টিক দিয়ে বাছেদ মিয়াকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।একপর্যায়ে হামলায় বাছেদের ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বাবু মিয়া নামের একজন গিয়ার চাকু দিয়ে তার পিঠে আঘাত করলে গুরুতর জখম হয়।
অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা বাছেদের কাছ থেকে নগদ এক লাখ টাকা এবং দোকানের ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মালামাল লুট করে। পরে এ ঘটনায় বাছেদের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪-৫ জন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে মেঘনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্তরা হলেন- সিবনগর গ্রামের মৃত মালেক মিয়ার ছেলে আলেক মিয়া (৪০) ও বাবু মিয়া (৩৫), আলেক মিয়ার স্ত্রী রেখা বেগম (৪৫), বাবু মিয়ার স্ত্রী সুখী বেগম (২৮), হাবিব মিয়ার ছেলে ইউসুফ (২৫), আলেক মিয়ার ছেলে ইয়াসিন (২৪)।
মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিলের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে বলেন সব কিছুতো আমার মুখস্থ নাই অভিযোগতো অনেক হয় দেখতে হবে পরে বলতে হবে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।স্থানীয়রা হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেছেন।