সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সদর দক্ষিণ উপজেলার কোটবাড়ী এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
দুপুর সাড়ে ১২টায় শুরু হওয়া এ অবরোধে ঢাকা ও চট্টগ্রামমুখী দুই লেনে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে অন্তত ১০ কিলোমিটার যানজট দেখা দেয়। পরে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান ঘটনাস্থলে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি–দাওয়া তুলে ধরেন। জেলা প্রশাসক তাঁদের দাবি–সম্বলিত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছানোর আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাশেদ ইবনে নূর প্রথম আলোকে বলেন, কোটা সংস্কার করা উচিত। ৩০ ভাগ কোটা রাখার মাধ্যমে মেধাবীদের অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে। আরেক শিক্ষার্থী মো. আনাস বলেন, তাঁরা হাজারো শিক্ষার্থী কোটাবিরোধী আন্দোলন করছেন। দাবি আদায় করে তারপর তাঁরা আন্দোলন থেকে ফিরবেন।
এদিকে অবরোধের কারণে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় পর ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। কোটবাড়ীতে দাঁড়িয়ে থাকা মাইক্রোবাসের চালক জনি বেলা ১টা ৫০ মিনিটে প্রথম আলোকে বলেন, এক ঘণ্টা ধরে তিনি মহাসড়কে আটকে আছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে তিনি যেতে পারছেন না।
আরেক বাসের চালক বলেন, ‘কোটবাড়ী থেকে যাত্রী নিয়ে যখন ঢাকার দিকে গাড়ি চালু করি, তখনই আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এখন আমরা অপেক্ষা করছি কখন আন্দোলন থামবে।’
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ময়নামতি হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক ইকবাল বাহার জানান, মহাসড়কে গাড়ির চাপ অনেক। পুলিশ সদস্যরা চেষ্টা করছে যানজট যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয়।
অবরোধ প্রত্যাহারের আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কামরান হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনেক সদস্য উপস্থিত আছেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
সুত্র : প্রথম আলো