কুমিল্লা মেঘনা উপজেলায় একটি দৈনিক পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার ও মেঘনা উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য মো. মমিনুল ইসলামের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে উপজেলার নয়া-কান্দারগাঁও স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসামিরা অভিযোগকারীকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকিসহ পূর্ব বিরোধিতার জেরে ৪ নম্বর আসামী মাহাবুব সিকদারের হুকুমে লোক সম্মুখে এ সংবাদকর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় শিকার হওয়া মমিনুল ইসলামের চিৎকারে এলাকার লোকজন হাজির হলে সে প্রাণে রক্ষা পায় এবং তারা লোকসমাগম দেখে পালিয়ে যায়। এমনকি হামলাকারীরা তার প্যান্টের পকেট থেকে ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার পর ওইদিন বিচার শালিসির মাধ্যমে মিমাংসা হওয়ার কথা থাকলেও তা মিমাংসা হয়নি। পরে অপেক্ষা করে ভুক্তভোগী মো. মমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে পরদিন শুক্রবার (২১ জুন) বিকেলে তিনজনকে স্বাক্ষী রেখে অজ্ঞাত ১০-১২ জনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার লুটেরচর গ্রামের জজ মিয়ার ছেলে গোলাপ গাজী (৩৩), রাসেল গাজী (২৮) ও আবুল কালাম আজাদ (৪০), লুটেরচর গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে মাহাবুব সিকদার (৪৮), কান্দারগাঁও গ্রামের বসু মিয়ার ছেলে মো. হাবীব (৩০) ও আব্দুল জাব্বার মিয়ার ছেলে মো. সোহান (২৪)।
আহত মো. মমিনুল ইসলাম আমাদের এই প্রতিনিধিকে বলেন, আমি সবসময় সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ প্রচার করি। তারা কোনো ভাবেই চায় না আমি তাদের বিরুদ্ধে এক কলম লিখি। সবকিছু মিলিয়ে পূর্ব বিরোধিতার জেরে ১ নম্বর আসামী গোলাপ গাজী সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকসহ বিভিন্ন ভাবে আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। গত বুধবার ফেসবুকে হুমকি দিয়ে পরদিন গোলাপ গাজী তার দলবল নিয়ে আমার ওপর আক্রমণ করে। লোকজন উপস্থিত হওয়ায় আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। আমি প্রশাসনসহ আপনাদের তথা মেঘনাবাসির কাছে এর উপযুক্ত বিচার চাই। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যার ফলে আমি বাদী হয়ে মেঘনা থানায় অভিযোগ করতে বাধ্য হই।
এ বিষয়ে মেঘনা থানার ওসি তদন্ত আব্দুর রাজ্জাক কালের প্রতিচ্ছবিকে বলেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।