ঝালকাঠিতে অগ্নিকান্ডে কৃষকের ৮ গরু, ১১টি ছাগলসহ হাঁস-মুরগী পুড়ে ভস্মিভুত

ঝালকাঠি

মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় দিলীপ কুমার সমদ্দার নামের এক কৃষকের একটি খামারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৮টি গরু ১১ টি ছাগল ও ৩০টি হাঁস-মুরগীসহ গোয়ালঘর ভস্মিভুত হয়েছে। এসময় খামারের মধ্যে থাকা তৈল জাতীয় ফসল সূর্যমুখী ও বাদাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে সব মিলিয়ে ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সোমবার (৩ জুন) ভোর রাতে উপজেলার চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ চেঁচরী গ্রামের মাঝি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, উপজেলার ১নং চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের দক্ষিন চেঁচরী গ্রামের কৃষক দিলীপ কুমার সমদ্দার দেশীয় গরু, ছাগল হাঁস মুরগী দিয়ে একটি খামার করেন। বাড়ীর অদুরে ভান্ডারিয়া-আমুয়া কৈখালী সড়কের মাঝি বাড়ী বাজারের পশ্চিম পাশে সেমি পাকা ভবনের খামারে গরু ছাগল ও হাঁস মুরগী পালন করছিল। সোমবার ভোর রাতে তালাবদ্ধ ঘরে আগুন লেগে পুরো ভবনটি পুড়ে যায়। মশার কয়েল থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হয়েছে। ভুক্তভোগী দিলীপ কুমার জানান, রোববার (২ জুন) সন্ধ্যায় প্রতিদিনের ন্যায় গরু ছাগল ও হাঁস মুরগী খামারের ভবনে তালা দিয়ে আটকে মশারী টানিয়ে ভিতরে মশার কয়েল জালিয়ে বাড়ীতে যান। রাত ১টার দিকে পুনরায় খামারে আসেন কৃষক দিলীপ কুমার তখনও সব কিছু ঠিক ছিল। সকালে স্থানীয় লোকজন জানায় তার খামারে আগুন লেগে সব পুড়ে গেছে। এসে দেখেন খামারের ৮টি গরু ১১ টি ছাগল ও ৩০টি হাঁস মুরগী মারা গেছে। এছাড়া খামারের মধ্যে থাকা গো-খাদ্য, সূর্যমুখি ও বাদাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ২৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে এ অর্থ দিয়ে তার সংসার চলতো। এখন কিভাবে সংসার চলবে তা বলতে পারছেনা দিলীপ কুমার। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো.হারুন অর রশীদ জানান, স্থানীয় ইউপি মেম্বার মাহবুব আলমের মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনিসহ সেখানে উপস্থিত হই। ওই কৃষককের অপুরনীয় ক্ষতি হয়েছে। তাকে শান্তনা দেওয়ার ভাষা নেই। চেষ্টা করছি তাকে আর্থিক সহযোগীতা করার। কাঁঠালিয়া ফায়ারসার্ভিসের স্টেশন অফিসার শহিদুল ইসলাম জানান, রবিবার রাত ৩টার দিকে দক্ষিণচেচরীরামপুর গ্রামে সত্যন্দ্রনাথ সমদ্দারের খামারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। ততক্ষণে ৮টি গরু, ১১টি ছাগল ও ৩০টি মুরগী পুড়ে মারাগেছে। গোয়ালঘরেরও ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে “মশা তারানোর ধোঁয়া ও কয়েল” থেকে অগ্নিকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কোন নাশকতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। মশার কয়েলের আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে যা খামারের মালিক নিজে স্বীকার করেছে। তারপরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।  কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)  মো. নেছার উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থানে গিয়েছিলাম। বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষককে আর্থিক সহায়তা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.