মোঃ আলাউদ্দিন : কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নিজাম হত্যার ১ নং আসামি জেলা পরিষদের সদস্য মোঃইয়ুম হোসাইন ও ১৫নং আসামি দুলালকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর, (২০২৩)বিকেলে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মেঘনা থানা পুলিশের একটি টিম কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আশফাকুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে ঢাকা মহানগরীর জোরাইন এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে হত্যার ঘটনায় নেতৃত্বদানকারী মূল হোতা ও দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী মো. কাইয়ুম হোসাইনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়।মোঃ কাইয়ুম হোসাইন উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চালিভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।তার বিরুদ্ধে পুর্বের দুইটি হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। অন্যদিকে সহকারী পুলিশ সুপার (হোমনা-মেঘনা সার্কেল) মীর মুহসীন মাসুদ রানার নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী অফিসার মেঘনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহা. বিল্লাল হোসেন সঙ্গীয় এসআই হাক্কানী মোঃ বিল্লাহ, এসআই মোঃ তোফায়েল আহম্মেদ,এসআই মোঃ লিমন মিয়াসহ ডিএমপি ঢাকা ডিবির খিলগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম সাইফের নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে ঢাকা মহানগরীর আজিমপুর এলাকা থেকে মামলার এজাহার ভুক্ত ১৫ নং আসামি কুখ্যাত সন্ত্রাসী দুলালকে (৪৮) গ্রেপ্তার করা হয়।সে উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চালিভাঙ্গা গ্রামের মৃত নুরু মিয়ার ছেলে। এ বিষয়ে মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন,আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন সহ এই দুই আসামিকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিপূর্বে বর্ণিত মামলা এজাহার ভুক্ত আরও ৬ জন আসামিকে মেঘনা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৪ জন আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। মামলার এজাহার ভুক্ত ও অন্যান্য জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য,গত ১৮ সেপ্টেম্বর নিজাম সরকারকে নির্মমভাবে হত্যার দায়ে ভুক্তভোগীর ছোট ভাই মোঃটিটু সরকার বাদী হয়ে ২৪ জনকে আসামি করে মেঘনা থানায় মামলা করেন।