ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ এখন প্রায় মহামারীর আকার ধারণ করেছে।এই রোগকে আয়ত্তে আনতে দিন-রাত এক করে ফেলেছেন বিশিষ্ট চিকিত্সক থেকে বিশেষজ্ঞরা। ক্যান্সার রোগকে নির্মূল করার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিজেকে অর্পণ করে দিয়েছেন বহু বিজ্ঞানী। তবুও এই রোগের নির্দিষ্ট ওষুধ আনতে সক্ষম হননি কেউই। এবার সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিল কিউবা! তবে ক্যান্সার রোগে আক্রান্তদের জন্য সত্যিই সুখবর। এখনও পর্যন্ত এই মারণ রোগের চিকিত্সা বলতে অত্যন্ত কষ্টকর কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন পদ্ধতির মতো কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে।
এবার হয়তো মুক্তি মিলবে এই সুদূরপ্রসারী চিকিত্সাব্যাবস্থা থেকে। মারণ রোগকে নির্মূল করতে কিউবার একটি ছোট দলের বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করে ফেলেছেন একটি বিস্ময়কর টিকা। তাঁদের দাবি, এই টিকার সাহায্যেই ক্যান্সার রোগ নির্মূল করা সম্ভব। সেটা হাতেনাতে প্রমাণ পেতে ইতোমধ্যেই ৪ হাজারেরও বেশি আক্রান্তদের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে।
যাঁরা এখন স্বাভাবিক মানুষের মতোই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ভাবছেন, এই ভ্যাকসিনের দাম অত্যন্ত বেশি হবে? কিন্তু কিউবার বিজ্ঞানীদের কথায়, মধ্যবিত্তের সামর্থ্যের মধ্যেই মিলবে এই অত্যন্ত জরুরি টিকা। কিউবার বিজ্ঞানীদের অসাধ্য সাধন কর্মকাণ্ডকে বাহবা জানিয়েছে সায়েন্টিফিক কমিউনিটি। শুধু বিজ্ঞানীরাই নন, বহু চিকিত্সকও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে আক্রান্তদের মধ্যে পরিবর্তন লক্ষ করেছেন। পরে দেখা গিয়েছে, ওই রোগীদের শরীর থেকে ক্যান্সারের কোষের দেখা মেলেনি। বিজ্ঞানীদের দাবি, ক্যান্সারের অ্যাডভান্সড স্টেজেও এই টিকা দারুণভাবে কাজ করবে। কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশনের মতো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এই ভ্যাকসিনে নেই। কিউবার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ভ্যাকসিনের প্রভাবে দ্রুত সেরে উঠবে ব্রেস্ট, ইউটেরাস ও প্রস্টেট ক্যান্সার। আর এই তিনটি ক্যান্সারের প্রকোপই সবচেয়ে বেশি।
আরো পড়ুনঃ কৃষি জমিতে পুকুুর খনন, ইউপি সদস্যের কারাদগু
উল্লেখ্য শরীরের মধ্যে অ্যান্টিবডিটাই ক্যান্সার কোষে পরিণত হয় এবং তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই এড়িয়ে যান, আবার বেশিরভাগই ধরা পড়ে একদম শেষের দিকে গিয়ে। তবে বেশ কিছু থেরাপির মাধ্যমে এই রোগ সারানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু নতুন আবিষ্কার এই ভ্যাকসিন প্রয়োগে দ্রুত সেরে উঠছেন রোগীরা। আর সম্প্রতি বসনিয়া, প্যারাগুয়ে, কলম্বিয়া ও পেরুতে মিলছে এই ভ্যাকসিন। উল্লেখ্য, এই মহামূল্যবান ভ্যাকসিনটি যেহেতু কিউবা থেকে আবিষ্কার হয়েছে, তাই কিউবার বাসিন্দাদের ক্ষেত্রে ভ্যাকসিনটি বিনামূল্যেই দেওয়া হচ্ছে। আর ভিনদেশের যাঁরা এই ভ্যাকসিন পেতে চান, তাঁরা কিউবার মেডিক্যাল সার্ভিসে যোগাযোগ করতে পারেন আপনি নিজেই।