মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বড়কান্দা ইউনিয়ন এর ১নং ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক এর উপর পরিকল্পিত ভাবে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠে অজ্ঞাত ৬ জনসহ ১৩ জনের উপর, এদের মধ্যে অনেকে এলাকায় কিশোর গ্যাং হিসেবে পরিচিত। সরেজমিনে জানা যায় ৮ জুলাই শনিবার সকাল ৯ ঘটিকায় আবু বক্কর মেম্বার ব্যবসায়িক কাজে উপজেলার মানিকারচর বাজারে যাওয়ার পথে বড়কান্দা চৌরাস্তা এলাকায় ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি আগাত করে হত্যার চেষ্টা করে। এলাকার লোকজন এগিয়ে আসাতে প্রানে বেঁচে যায় আবু বক্কর। গুরুতর আহত অবস্থায় মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করেন। আবু বক্কর মেম্বারের উপর হামলার প্রতিবাদে ও দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে। মুহুর্তে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে এলাকায়, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পরের দিন আবু বক্কর মেম্বারের বোন বাদী হয়ে মেঘনা থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে হামলাকারীরা হলেন, বড়কান্দা জলারপার গ্রামের, ১. রফিকুল ইসলাম (রবি), ২.আল—আমিন, ৩. নিলয় সাহা, ৪. মোঃ রিয়াদ, ৫. মোঃ আফজাল, ৬. লোকনাথ শাহা, ৭. পলাশ চন্দ্র, ৮. রুহুল আমিনসহ অজ্ঞাত ৫—৬ জন । এ বিষয়ে বড়কান্দা ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন রিপন বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক আমার পরিষদের মেম্বার সবথেকে ভালো এমবিএ পাস করা শিক্ষিত এবং মেধাবী একজন মানুষ এই পর্যন্ত খারাপ কিছু তার থেকে আশা করা যায় না, এমন লোকের উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় এই হামলাকারীরা কিশোর গ্যাং পরিচয় বিভিন্ন সময় এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি রেখে বলেন ওদের লাগাম এখনই ট্রেনে না ধরলে ভবিষ্যতে আরো বড় কিছু করবে। এলাকাবাসী আরো বলেন, একাধিক মামলা রয়েছে ওদের বিরুদ্ধে, কোরবানির হাটে গরু বিক্রি করে আসার সময় নামে এক ব্যাক্তির কাছ থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে যায়, এবিষয়ে থানায় একটি অভিযোগও আছে। মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহম্মদ দেলোয়ার হোসেন এর সাথে জানতে চাইলে বলেন, ঘটনার দিন সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়েছি এবং গতকাল অভিযোগ হওয়ার সাথে সাথেই লোকনাথ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে বাকি আসামি গুলো ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।