কুমিল্লার মেঘনায় চাঁদপুর অঞ্চল নৌ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান এর উপস্থিতিতে, মেঘনা থানা পুলিশ, ও চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মেঘনা উপজেলা। যার চারপাশে মেঘনা নদীর শাখা নদী বেষ্টিত। ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে মাছ ধরার নামে শাখা নদীগুলোতে গড়ে উঠেছে শত শত ঝোপ। তার মধ্যে, দাউদকান্দি থেকে মেঘনা-তিতাস চলাচলের নদী কাঁঠালিয়া বৈদ্যবাজার থেকে চন্দনপুর যাওয়ার পথে মহিষারচর, রামপ্রসাদের চর, মেঘনা ঘাট থেকে সাতানি যাওয়ার পথে সোনাকান্দা, সাতানি, রামপুর, মেঘনা ঘাট থেকে আলিপুর ঘাটে যাওয়ার পথে ওমরা কান্দা এই স্থানগুলোতে দেখলে মনে হয় যেন ঝোপের প্রতিযোগিতা। বিভিন্ন প্রভাব দেখিয়ে পুরো নদী যেন গিলে খেয়েছে ঝোপের মালিকরা। কচুরিপানা দিয়ে তৈরি এই ঝোপের প্রভাব পড়েছে নিম্ন আয়ের ট্রলার চালকদের ওপরে। ঘটছে প্রাণহানিও। উল্লেখ্য গত ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঘোষিত অভিযান কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল ৮ ডিসেম্বর মেঘনা শাখা নদীর চালিভাঙ্গা ও সোনাকান্দা এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
চাঁদপুর অঞ্চল নৌ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, মেঘনায় প্রায় সব নদী-খালে এমনভাবে ঝোপ দিয়েছে এবং মাছ বেশি পাওয়ার আশায় কচুরিপানা দিয়ে ভরে রাখছে। আমাদের কাছে কাছে অনেক ট্রলার চালকদের অভিযোগ আছে, মেশিনের ফুল স্পিড বাড়িয়ে দিয়ে চলাচল করতেও তাদের কষ্ট হয়। আবার মাঝে মাঝে কচুরিপানার নিচে থাকা বাঁশ-কাঠের সঙ্গে লেগে মেশিনের পাখা ভেঙে যায়। এই ঝোপগুলো সম্পূর্ণ অবৈধ। মেঘনা উপজেলা আশপাশে শাখা নদী অনেক। এজন্য ঝোপও অনেক। বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন ঝোপ ভেঙে বাঁশ নিয়ে আসা হচ্ছে। এগুলো বন্ধের জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। একটু সময় লাগবে তবে আমাদের উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ছমিউদ্দিন, চালিভাঙ্গা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ সঙ্গীয় ফোর্স প্রমুখ।