শহীদুজ্জামান রনি: কুমিল্লা মেঘনা, লুটেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদ পুর গ্রামে তৌফিকুল ইসলাম এর উপর হামলার প্রতিবাদে ও আসামীদের আইনের আওতায় আনার জন্য মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।
জানা যায় মেঘনা উপজেলার লুটেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদ পুর গ্রামের সিরাজ এর নাতি কাওছার সিএনজি ড্রাইভার, প্রতিদিনের মতো গত ১১ এপ্রিল ভাটেরচর স্ট্যান্ডে কাউছার তার সিএনজির সিরিয়ালে নাম্বার দিতে গেলে, লুটেরচরের সিএনজির ড্রাইভার দুলাল মিয়া ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে গাড়ির সিরিয়াল আগে দেয়া নিয়ে কাউছারের সাথে কথা কাটাকাটি হয়।পরে বিষয়টি সাময়িক সমাধান হলেও দুলাল কাউছারকে দেখে নেমে বলে হুমকি দেয়। সন্ধ্যায় কাওছার ও তার কাকা আব্দুর রাজ্জাককে মারার পরিকল্পনা করে রাজ্জাকের সাথে কথাটা কাটাকাটি হয় দুলাল ও রিপরেন সাথে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায় আব্দুর রাজ্জাক আইনের আশ্রয় পেতে থানায় চলে যায়.. অন্যদিকে রিপন ও তার দলবল নিয়ে রাজ্জাককে খুঁজতে থাকে একপর্যায় মোহাম্মদ পুর স্টেন্ডে কাওছারকে পেয়ে নানা হুমকি ধামকি দেয়, পরে সোলমান নামের একজন এসে বিষয়টি সমাধান হয়ে গেছে বলে দু পক্ষকে থামানোর চেষ্টা করে. তাত্ক্ষণিক সোলমানকে শার্টের কলারে ধরে মারার পরিকল্পনা করতেই সোলমানের ছোট ভাই তৌফিকুল ইসলাম ছুটে আসে,নিজের আপন ভাইকে মারধর করা অবস্থা দেখে রাগান্বিত হয়ে রিপন সহ কয়েকজনকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে গেলে রিপন ও তার সহযোগীরা দলবদ্ধ মিলে তৌফিকুল ইসলামকে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মেরে চোখে রক্ত জমাট করে ফেলে পরে রিপন সহ সকলেই তাত্ক্ষণিক স্থান ত্যাগ করে,এলাকাবাসী তৌফিকুল ইসলাম কে গুরুতর আহত অবস্থা মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তবরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করেন। ঘটনা শুনে মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ ছমিউদ্দিন সাথে সাথে পুলিশ টিম পাঠান। পরিবেশে শান্ত হলে । পরে আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে মেঘনা থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অফিসার ইনচার্জ ছমিউদ্দিন বলেন তদন্ত সাপেক্ষ বিষয়টি আমি গুরুত্ব সহকারে দেখবো।