চলমান লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট নিরসনের জন্য অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন কাচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। যাতে করে সকল জরুরি সেবা ও পন্য পরিবহনের সাথে জড়িত সকল যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে। আর এই নির্বিঘ্নে চলাফেরায় বাঁধা গ্রস্ত হয়ে দাড়াচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত মরন যন্ত্র থ্রি হুইলার ও ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা।
এ মরণযন্ত্র থ্রি হুইলারের বিরুদ্ধে মহামান্য হাইকোর্ট ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে যে অটোরিকশা,থ্রি হুইলার মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ।কিন্তু অলিতে গলিতে থাকা তিন চাকার বাহন আদেশ অমান্য করে মহাসড়কে চলে আসে। এই তিন চাকার বাহনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে কাচপুর হাইওয়ে পুলিশ রেকার,মামলা ডাম্পিং এর ব্যবস্থা করে থাকে।তারপরেও তারা মহাসড়কে বেশি রোজগারের আসায় চলাচল করে এবং মাঝে মাঝে দৃর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই আহত এবং নিহত হচ্ছে। আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ সহ ধ্বংস হচ্ছে অনেক পরিবার।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভাষ্য হলো আমরা সরকারি নিয়ম আনুযায়ী কাজ করি,কঠোর লকডাউন মধ্য দিয়েও করোনাকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত রাস্তায় ডিউটি করতে হয়।হাইওয়ে রাস্তায় অটোরিকশা,থ্রি হুইলার,ইজিবাইক সরকারিভাবে চলাচল নিষিদ্ধ আছে।তারপরেও চালকরা সরকারি নিষেধ অমান্য করে হাইওয়ে রাস্তায় চলে আসে। তখনই আমরা অটোরিকশা,থ্রি হুইলার,ইজিবাইক নিষিদ্ধ যানবাহন আটক করি।সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মামলা করি এবং ডাম্পিং এর ব্যবস্থা করি।
তখনই নাম সর্বস্ব কিছু পত্রিকার সাংবাদিক এর সিন্ডিকেট বিশাল ভাব নিয়ে পত্রিকার আইডিকার্ড গলায় ঝুলিয়ে ঘটনাস্থলে বা থানায় হাজির হয়ে আটককৃত যানবাহন ছাড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। মূলধারার সাংবাদিকদের চেয়ে কিছু ভুঁইফোঁড় ও স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিকদের তাণ্ডব এখানে বেশি। তারা সাংবাদিকতা করতে সংবাদ মাধ্যমে আসেনি;বরং অবৈধ পন্থায় পয়সা উপার্জন ও সাধারণ মানুষের ওপর কর্তৃত্ব করতে এ পেশায় ঢুকেছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায় এলাকার মাদক, চাঁদাবাজি, অনৈতিকতা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারা খুব কমই মাঠে নামে বেশিরভাগ সময় তারা অপেক্ষায় থাকে, কখন কোন গরিব অসহায় মানুষের অটোরিকশা,থ্রি হুইলার,ইজিবাইক কাচপুর হাইওয়ে থানায় ধরা পড়ে।
এ সকল পত্রিকার সাংবাদিকেরা এবং এদের সিন্ডিকেট অসহায় চালকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে গাড়ী ছাড়িয়া দিবে বলে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে চলে আসে।
তখনই শুরু হয় তাদের দাপুটে কথাবার্তা সে বলে আমি অমুক পত্রিকা তমুক পত্রিকায় কাজ করি যা প্রশাসন কখনো নামও শুনেনি। এ সকল পত্রিকার সাংবাদিকের সিন্ডিকেটের কথা না শুনলে এবং চাহিদা মোতাবেক গাড়ি ছেড়ে না দিতে পারলে কাচপুর থানা পুলিশকে পড়তে হয় বিপাকে। তারা পিছু লেগে যায় বিভিন্ন পয়েন্টে দায়ীত্বরত অফিসার ও ফোর্সদের পিছনে। কোথাও মাঝে মাঝে কিছু থ্রি হুইলার দাড়িয়ে থাকতে দেখলে সেগুলো ভিডিও করে ফেসবুক লাইভে দেখায়। কঠোর লকডাউনে সাইনবোর্ড,শিমরাইল,মদনপুর ও রুপসি এলাকায় কখনও যানযট দেখা যায়নি অথচ এ সকল অপপেশার সাথে জড়িত লোকজন উল্লেখিত এলাকায় বিশাল যানযট লেগে আছে বলে বিভিন্ন পত্রিকায় কাঁচপুর হাইওয়ে থানাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য নিউজ করে থাকে যা আদোও সত্য নয় মর্মে সরেজমিনে দেখা গেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার পরিসংখ্যানে দেখা যায় তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন মহাসড়কে প্রায় ১৭২ টি সংযোগ সড়ক রয়েছে। লকডাউনের কারনে গ্রাম বা মহল্লার ভিতরে চলাচলরত হাজার হাজার থ্রি হুইলার চালকগন অতিরিক্ত মুনাফার আশায় মহাসড়কে চলে আসছে। আর এতেই হিমসিম খেতে হচ্ছে কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে।
বিশেষ অনুসন্ধানে দেখা যায় এ ধরনের নাম সর্বস্ব অনলাইন নিউজ পোর্টাল,স্থানীয় পত্রিকা,আন্ডারগ্রাউন্ড পত্রিকায় যারা নিউজ করেন তাদের অধিকাংশ অটোরিকসা বা থ্রি হুইলার সিএনজির ব্যবসায় নিয়োজিত। আবার কেউ কেউ এ সকল যানবাহনের মালিকদের সাথে আর্থিকভাবে চুক্তিবদ্ধ। পুলিশ কোনো সময় এ সকল নিষিদ্ধ ঘোষিত যানবাহন আটক করলেই তারা মালিকের পক্ষে সাফাই গাইতে দল বেধে থানায় চলে আসে।
আবার এরূপ কোনো ঘটনায় যদি সুবিধা আদায় না করতে পারে তাহলে অজ্ঞাত নম্বর থেকে পুলিশকে ফোন দিয়ে ফের হয়রানি করে।
নাম সর্বস্ব এ সকল পত্রিকার সাংবাদিকতায় অতিষ্ঠ ও ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন ও পরিবহন সেক্টরের লোকজন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে তারাও এদের বিরুদ্ধে কিছু করতে পারছে না। সিন্ডিকেট এতটাই শক্তিশালী যে, ব্যক্তি পর্যায়ে বিরোধিতা করে তাদের মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। তাই প্রশাসন ও কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অনেকেই বলেছেন তারা যেনো অতি দ্রুত এ নাম সর্বস্ব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ সিন্ডিকেট’কে প্রতিহত করার ব্যবস্থা করেন।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন,গাজীপুর হাইওয়ে রিজিয়নের সম্মানিত পুলিশ সুপার জনাব আলী আহমদ খানের সার্বিক তত্বাবধান ও নির্দেশনায় মহাসড়কের প্রতিটি পয়েন্টে পয়েন্টে আমাদের কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ চেকপোষ্টে কাজ করে চলেছে। শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প এবং ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের দায়ীত্বরত সকল অফিসার ও ফোর্সদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও সহায়তায় অটোরিক্সার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া, জরিমানা করাসহ আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রতিদিনই থ্রি হুইলার এর বিরুদ্ধে মামলা দেয়াসহ ডাম্পিং করা হচ্ছে। গত ০৬/০৬/২০২১ খ্রিঃ থেকে এখন পর্যন্ত চলমান লকডাউনে প্রায় ২১০০ ই প্রসিকিউশন দাখিল করে ৫৬০০০০০ ছাপান্ন লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করে সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়েছে।মহাসড়ককে সুরক্ষিত রাখতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।