কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ভূয়া সাংবাদিক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ড্রাগ সুপার ইত্যাদি ভুয়া বিভিন্ন পরিচয় দিয়ে এক ফার্মেসী থেকে কৌশলে টাকা আদায় করতে গিয়ে জনতার হাতে ১ নারী সহ ৪ প্রতারক আটক হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে কুলিয়ারচর থানায় নিয়ে আসে। আটককৃত ৩ প্রতারক ও সিএনজি চালকের বাড়ি নরসিংদী জেলায় এবং অপর মহিলা প্রতারকের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। আটককৃতদের মধ্যে মোঃ ইউসুফ ভূঁইয়া (৩৮), নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের মৃত ইদ্রিস ভূঁইয়ার পুত্র। মোঃ রাজু মিয়া (৬৫), ভেলা নগর পশ্চিম পাড়ার মৃত নিয়ত আলীর ছেলে, তালাত মাহমুদ (৫২), ওয়ারী, বেলাব উপজেলার মৃত হারিছ মিয়ার পুত্র, ও সিএনজি চালক রাতুল পিতা- কবির হোসেন, গ্রাম সৃষ্টিগড়, শিবপুর, সর্বজেলা নরসিংদী এবং অনুফা ওরফে কুশন, পিতা- বিল্লাল মিয়া, মাতা- মর্তুজা বেগম, ভৈরব চন্ডিবেড়, কিশোরগঞ্জ। জানা যায়, রবিবার ১০ জানুয়ারী বেলা ১২ টার দিকে প্রেস লিখা স্টিকার ব্যাবহার করে সিএনজি যোগে একজন মহিলা ও ৩ জন পুরুষ উপজেলার সালুয়া ইউনিয়নের মধ্য সালুয়া চকবাজারে অবস্থিত সেবা মেডিক্যাল হল নামক এক ফার্মেসীতে প্রবেশ করে অনুফা ওরফে কুশন নিজেকে ড্রাগ সুপারের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ঔষধের মেয়াদ ও ডিএআর সহ বিভিন্ন কাগজ পত্র পরীক্ষা করতে চায়। এ সময় প্রতারক চক্রের অনান্য সদস্যরা নিজেদেরকে কখনোবা ম্যাজিস্ট্রেট, কখনো বা সাংবাদিক দাবি করে ওই ফার্মেসীর মালিককে ভয়ভীতি দেখায়। তাদের কথা বার্তায় সন্দেহ হলে ফার্মেসীর মালিক সহ স্থানীয় জনতা তাদের আটক করে সালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে তাদের কে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আটকের সময় প্রতারকদের কাছ থেকে পুলিশ পত্রিকার আইডি কার্ড ও ভিজিডিং কার্ড উদ্ধার করে। প্রতারকদের ব্যাবহৃত সিএনজির কোন নাম্বার প্লেট নাই। সিএনজি চালক রাতুল জানায়, তাকে মরজাল থেকে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার কথা বলে এক হাজার টাকায় সিএনজিটি রিজার্ভ করে নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই ঘটনায় মামলার প্রকৃয়া চলছে। কুলিয়ারচর ঔষধ ব্যাবসায়ী সমিতির সভাপতি ডাঃ মোঃ মোস্তফা কামাল প্রতারকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।