বাংলাদেশে ব্যস্ততম মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায়ই লেগে থাকে র্দীঘ যানজট। এ যানজট নিরসনে এবং স্বল্প সময়ে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামসহ নিকটবর্তী জেলাগুলোতে যেতে মহাসড়কের তিনটি সেতুর পাশে ২য় সেতু নির্মাণ করেছে সরকার। গত ১৬ মার্চ ২য় কাঁচপুর সেতু উদ্ধোধনের পর ২৫ মে উদ্ধোধন হতে যাচ্ছে ২য় মেঘনা ও গোমতি সেতু। সেতু দুইটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্ধোধন করবেন বলে জানা যায়।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর দ্বিতীয় মেঘনা, দ্বিতীয় গোমতি ও দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু নির্মাণ করে। সেতু তিনটি চার লেনের এবং এগুলো নির্মাণে নেওয়া প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা। তার মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সংস্থা (জাইকা) দিয়েছে ৬ হাজার ৪২৯ কোটি টাকা। বাকি অর্থ যোগান দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৬ সালে চার লেনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উদ্ধোধনের পরও সেতু তিনটি সরু থাকার কারনে তীব্র যানজটের লেগেই থাকত।
আরো পড়ুনঃকুমিল্লা নগরীতে কিশোর আদিল হত্যা মামলার তিন কিশোর আসামি আটক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতু দুইটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধোধন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ উদ্ধোধন অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। ওবায়দুল কাদের ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সেতুর কাজ দ্রুত শেষ করতে যান চলাচল সীমিত করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে তীব্র যানযটের সৃষ্টি হচ্ছে। টোল আদায়ে ধীর গতি এবং সরু চলাচলে রাস্তা হওয়ার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়। নতুন সেতুতে বৈদুতিক বাতি সংযোজনের কাজ চলছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫ হাজার গাড়ি চলাচল করে এই মহাসড়ক দিয়ে।সেই সাথে গাড়ি চলাচলের হার প্রতি বছর ১০ শতাংশ করে বাড়ছে।চলাচলকৃত যানবাহনের মধ্যে ৬০ শতাংশ বাণিজ্যিক,২৭ শতাংশ যাত্রীবাহি এবং ১৩ শতাংশ হালকা যান। মহাসড়কটির কাজ শেষ হলেও কুমিল্লার কিছু অংশে লেভেল ক্রসিং ও উড়াল সেতুর কাজ এখনও চলছে বলে জানা যায়।