কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৭ তম শুভ জন্মদিন পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৮ অক্টোবর রোববার বিকালে উপজেলার গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের বড়চারা বাজারে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদ অফিসে আনুষ্ঠানিক ভাবে কেক কেটে শেখ রাসেলের শুভ জন্ম দিন পালনের সুচনা করেন প্রধান অতিথি ১নং গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্বাস উদ্দিন। এ সময় ছিলেন উপস্থিত ছিলেন, গোবরিয়া আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও দলীয় নেতাকর্মীবৃন্দ। উল্লেখ্য, ১৯৬৪ সালে ফজিলাতুন্নেসা ও শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। পরিবারের সবাই বেশ খুশি। একটি জন্ম, নতুন নিঃশ্বাস, থেমে থেমে কান্না। এ সবকিছু নিয়েই পরিবারের সবাই বেশ আনন্দিত। ছোট ভাই এসেছে পরিবারে। নাম রাখা হলো রাসেল। শিশু শেখ রাসেল। কিন্তু বিধাতার কী অদ্ভুদ খেলা! আনন্দের অংশীদার বেশিদিন হতে পারেনি শেখ রাসেল। শিশু থেকে বড় হতেই পারেনি। শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। দেশের অবস্থা তখন বেশ উত্তাপ। পিতা সবসময় ব্যস্ত থাকেন রাজনৈতিক কাজে। বেশিরভাগ সময় কাটে মা ফজিলাতুন্নেসার সাথে। তিনি ছিলেন একজন আদর্শ মা, আদর্শ গৃহিনী, বুদ্ধিমান সহধর্মিণী। পিতার অভাব পূরণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করতেন। একজন মায়ের কাছে প্রতিটি সন্তান অতি আদরের কিন্তু শেখ রাসেল সর্বকনিষ্ঠ হওয়াতে মা সহ সবার আদর একটু বেশি পেতো। এই আদর দীর্ঘস্থায়ী হলো না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বংশকে ধ্বংশ করার পণ করেছিল বিদেশী ঘাতকরা। তারা এই ছোট্ট শিশুটিকেও ছাড়েনি। শিশুটির কান্না তাদের কর্ণকুহরে পৌঁছায়নি, “আমি মায়ের কাছে যাবো, আমি হাসু আপার কাছে যাবো “। নরপিচাশরা হাসু আপার কাছে যেতে দিতে পারলো না। ভাগ্যক্রমে দুইবোন দেশের বাইরে ছিলেন। তাই ঘাতকরা মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিলো ছোট্ট রাসেলকে। দোতালার বারান্দায় গুলিবিদ্ধ নিথর দেহ পড়েছিল ছোট্ট রাসেলের মায়ের। ঘাতকরা সেখানে নিয়ে রাসেলকেও গুলি করে তার মায়ের কোলে চিরতরে ঘুমের রাজ্যে পাঠিয়ে দিলো। রোববার ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিন। আজ বেঁচে থাকলে পিতার যোগ্য সন্তান হিসেবে দেশের জন্য, দশের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতেন নিঃস্বার্থভাবে।