নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবারও মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এর আগেও ঐ শিক্ষক কর্তৃক একই মাদরাসার আরও ছাত্র বলাৎকারের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
উক্ত অভিযোগে মিজমিজি পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকায় অবস্থিত মারকাযুল কোরআন কওমী মাদরাসা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের শিক্ষক শহিদুল্লাহ (৪৫)’কে রোববার রাতে আটক করেছে পুলিশ।বলাৎকারের শিকার ১১ বছরের ঐ মাদরাসা ছাত্রের পরিবার জানায়, গত ১৫দিন ধরে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে মাদরাসার শিক্ষক শহিদুল্লাহ ছাত্রটিকে বলাৎকার করে আসছে। ব্যাথা কমাতে ছাত্রটিকে ব্যাথার ঔষধও সেবন করায় ঐ শিক্ষক। ঐ ছাত্রটি মাদরাসা থেকে বাসায় চলে যেতে চাইলে তাকে ভয়-ভীতি দেখায় ঐ শিক্ষক। পরে রোববার সুযোগ পেয়ে ঐ ছাত্র মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাসায় গিয়ে অভিভাবকদের বিষয়টি জানায়।
এলাকাবাসী জানায়, এর আগেও ঐ শিক্ষক এক ছাত্রকে বলাৎকার করে। পরে বিষয়টি মাদরাসা প্রধানের সহায়তায় ধামাচাপা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফয়সাল জানান, অভিযুক্ত মাদ্রাসা শিক্ষককে করে থানায় আনা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।