কুমিল্লার মুরাদনগরে টানা বৃষ্টির ফলে পরপর দুইবার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায়
৫শ বিঘা খিরা ক্ষেত। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়ছে কৃষক। তাদের স্বপ্নের উপর এখন
পানি থৈ থৈ করছে। সামান্য সহায়তা পেলে আবারো খিরার চারা রোপণ করে
নিজেদের ক্ষতি পুরনের চেষ্টা করতে চায় চাষিরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার করিমপুর, ইউসুফনগর ও নেয়ামতপুর
এলাকায় গত কয়েক সপ্তাহ আগে ভারি বর্ষণের ফলে নষ্ট হয়ে যায় প্রায় ৫শ বিঘা
জমির খিরার চারা। যা প্রতি বিঘা জমিতে চারা রোপণ করতে চাষিদের খরচ হয়েছে
২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক এই বিপর্যয় কে তারা হাসিমুখে মেনে
নিয়ে দ্বিতীয়বার চারা রোপণের পরেও ভগ্য তাদের সঙ্গ দেয়নি। আবারো কয়েক দিনের
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে সকল জমি। যার ফলে নষ্ট হয়ে গেছে জমিতে থাকা
সকল খিরার চারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর ধরে কাদা মাটিতে খিরা চাষ
করে বেশ লাভবান স্থানীয় কৃষকরা। তাই প্রতি বছর বাড়ছে খিরা চাষের চাহিদা। এ
বছর প্রায় ৫শ বিঘা জমিতে রোপণ করা হয়েছিলো খিরার চারা। যা অন্যান্য বছরের
তুলনায় অনেক বেশি। কয়েক দিনের ভারি বর্ষণে খিরার চারাসহ জমিতে থাকা সব
ধরনের সবজির গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়া এখন দিশেহারা প্রায় সকল চাষিরা। খিরা ক্ষেতে
এখন থৈ থৈ করছে পানি।
এ বিষয়ে উপজেলা সদর এলাকার করিমপুর গ্রামের খিরা চাষি নাতু মিয়া জানান,
চলতি মৌসুমে দুই বিঘা জমিতে খিরার আবাদ করেছেন তিনি। চারার অবস্থা
দেখে মনে হয়েছে ফলনও এবার যতেষ্টে ভালো হবে। তবে টানা বৃষ্টিতে তার পুরো
খিরা ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। গাছ মরে গিয়ে কাদার সাথে মিশে গিয়েছে।
টানা বৃষ্টির ফলে পরপর দু’বার চারা রোপণের পর তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এখন
দিশেহারা নাতু মিয়ার মত সকল কৃষক।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাঈন উদ্দিন আহম্মেদ জানান, এ বছর প্রায় ৬০ হেক্টর
জমিতে খিরার চাষ হয়েছে। তবে টানা বৃষ্টির ফলে প্রায় ৭০ ভাগ খিরা ক্ষেত এখন
পানির নিচে। বর্তমানে যে জমি গুলো কিছুটা ভালো আছে সেগুলো বাচাঁতে
কৃষকদের করণীয় সম্পর্কে আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের
প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।