সিলেটের ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজ ছাত্রবাসে গৃহবধুকে গণধর্ষণে বালাগঞ্জের এম. সাইফুর রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা জড়িত থাকার সংবাদ প্রকাশের পর বালাগঞ্জে নিন্দার ঝড় বইছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে বালাগঞ্জের সচেতন নাগরিকরা এ ঘটনায় তীব্র ঘৃণা এবং ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। পাশাপাশি অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। একই সাথে ঘটনার সাথে জড়িত সকল অপরাধীদের কলেজ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি তোলা হয়েছে। ন্যক্কারজনক এ ঘটনায় জড়িত এবং দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত এম. সাইফুর রহমান বালাগঞ্জের বাসিন্দা। সে উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের স্থানীয় চান্দাইপাড়া (চকগ্রাম) গ্রামের তুহিদ মিয়ার ছেলে। সে এমসি কলেজে ডিগ্রিতে অধ্যয়নরত বলে জানা গেছে। অনেকেই তাকে এ ঘটনার মূল হোতা হিসেবে অভিযুক্ত করছেন। এদিকে সাইফুরের এ জঘন্যকা-ে বিব্রত বালাগঞ্জের রাজনীতিক, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন। তাদের দাবি এসব অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক। দেশে-বিদেশে অবস্থানরত বালাগঞ্জের সচেতন নাগরিকরা ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বালাগঞ্জের নাগরিকদের ফেসবুকে এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে। আলাপকালে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এ ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে বলেন, সাইফুর বালাগঞ্জবাসীকে লজ্জিত করেছে। ‘আমরা এ ঘৃণ্য অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই’। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ঐতিহ্যবাহী এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে গিয়ে এক গৃহবধু ধর্ষণের শিকার হন। ছাত্রাবাসে থাকা ছাত্রলীগের কথিপয় নেতাকর্মীরা জোরপূর্বক ওই গৃহবধুকে ছাত্রবাসে নিয়ে ধর্ষণ করে। শাহপরাণ থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক এম. সাইফুর রহমানের ছাত্রাবাস কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ পাইপগান, রামদাসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করেছে। পুলিশ অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ওই গৃহবধুকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধী দেয়া হচ্ছে। সর্বশেষ খবরে জানা গেছে, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধুর স্বামী বাদী হয়ে আজ শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে একটি মামলা দায়ের করেছেন। ৯ জনকে আসামী করে শাহপরাণ থানায় দায়েরকৃত মামলায় ৬জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আরও ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এজহারনামীয় আসামীরা হচ্ছে এম. সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান। এদের সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামীদের মধ্যে তারেক ও রবিউল বহিরাগত, বাকিরা এমসি কলেজের ছাত্র।