তাহিরপুর শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে উপজেলা শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজার দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করেন আওয়ামীলীগ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গসংঠনের নেতাকর্মীরা। পুষ্পস্তবক শেষে একটি শোক যার্লী
শ্রীপুর বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে, শ্রীপুর বাজার আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে একটি আলোচনা সভা মিলিত হয়। শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউজ্জামান এর সভাপতিত্বে, উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ন আহবায়ক শামছুল আলম আখঞ্জী টিটুর সঞ্চালনায়,আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি, তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান,সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত সদস্য মোতাহার হুসেন আখঞ্জী (শামীম),
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছির আলম সুবল, সুনামগঞ্জ জেলা যুব শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান,তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তারা মিয়া, তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক সেলিম আখঞ্জী,উপজেলা কৃষকলীগের আহবায়ক আলহাজ্ব জিল্লুর রহমান,তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শাহিনুর রহমান,সাবেক ইউপি সদস্য এমদাদনুর,, শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শামনুর আখঞ্জী,৯নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মনির মিয়া, ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধান সম্পাদক সাহেব আলী,৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ মিয়া, শ্রমীকলীগ নেতা কাজী রুবেল মিয়া প্রমুখ।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামিলীগ ও আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ে নেতাকর্মীগন।
সভার শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সহ ১৫,ই আগস্ট সকল শহীদদের রুহের মাগরাত কামনায় ১মিনিট নীরবতা পালন ও সভা শেষে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহতাহার হোসেন আখঞ্জী বলেন বঙ্গবন্ধু ছিলেন সারা বিশ্বের অবিসংবাদিত নেতা। তিনি নিপীড়িত ও শোষিত মানুষের নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল এ দেশের বঞ্চিত ও শোষিত বাঙালির মুক্তির জন্য।উনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কখনো নিজের কথা চিন্তা করেননি। বাঙালির অধিকারের কথা ভেবেই জীবনের ১৭টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি। শোষিত মানুষের মুক্তি আনতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে মনে করেছিল বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাবে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঘাতকদের কাছে মাথানত করেননি। তাই আজ দেশও উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আজকের এই শোক কে শক্তিতে পরিণত করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ভেদাভেদ ভূলে গিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।