মেঘনায় নদীর তীর ঘেঁসে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

চট্টগ্রাম বিভাগ কুমিল্লা

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নদীর তীর ঘেঁসে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায় বালু উত্তোলনের নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে রাতের আধারে নদীর তীর ঘেঁসে বালু উত্তোলন করে নিচ্ছে ইজারাদাররা। এতে করে নদীর তীরের গ্রাম গুলি নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় নিরঘুম রাত কাটাচ্ছে নদীর পাড়ের গ্রামবাসী। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় উপজেলার নলচর ও মইষারচর দুইটি বালু মহাল রয়েছে এর মধ্যে নলচর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা পান মেসার্স ভূইয়া এন্টারপ্রাইজ এবং মইষারচর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা পায় নার্গিস এন্টারপ্রাইজ। ইজারায় উল্লোখিত এলাকা থেকে তারা বালু উত্তোলন না করে তারা তাদের উত্তোলন খরচ কমাতে এবং অতিরিক্ত বালু তুলতে রাতের আধারে নদীর তীরে চলে আসে বলে এলাকাবাসী জানায়। তবে সরেজমিনে গিয়ে অভিযুক্ত এলাকায় কোনো ড্রেজার পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে ইজারাদার কাইয়ুম হোসেন বলেন আমরা নির্দৃষ্ট এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে আসছি,এতে কারো ক্ষতি হচ্ছেনা।অপর ইজারাদার লতিফ চেয়ারম্যানকে তার ব্যহৃত মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিলন সরকার বলেন ইজারাদাররা রাতের আধারে সোনাকান্দা এলাকায় ও মইষারচর,রাম প্রসাদেরচর এসে বালু উত্তোলন করে এতে করে নদীর তীরের গ্রাম গুলি ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি ইজারাদারদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন যেখানে ইজারা দেওয়া হয়েছে সেখান থেকেই যেনো বালু উত্তোলন করা হয়। মেঘনা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন তারা বালু উত্তোলনের জন্য সরকার থেকে ইজারা এনেছে তবে তারা নদীর তীরে চলে আসে এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদেরকেও পাইনা এবং কোন ড্রেজার ও পাইনা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল্লাহ মিয়া রতন শিকদার বলেন যারা ইজারাদার তারা কোটি টাকা খরচ করে ইজারা আনে এবং তাদেরকে একটি নির্দৃষ্ট এড়িয়া থেকে বালু উত্তোলনের নির্দেশ দেয়া হয়,কিন্তু তারা ওই নির্দৃষ্ট এলাকা ছেড়ে নদীর তীরে চলে আসে। এতে করে নদীর পাড়ের গ্রাম গুলি ভাঙ্গনের আশঙ্কা থাকে,যাতে করে বালু উত্তোলনের ফলে কোনো গ্রামের ক্ষতি না হয় এবং ইজারাদাররা যেনো তাদের নির্দৃষ্ট এলাকা থেকে বালু উত্তোলন করে আমি প্রশাসনকে নিয়ে সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) প্রবীর কুমার রায় বলেন আমি এখানে যোগদান করেছি ৫ মাস হয়,যোগদানের পর থেকেই মৌখিক অভিযোগ শুনে আসছি কিন্তু আমরা সরেজমিনে গিয়ে বালু উত্তোলনকারী ড্রেজার পাইনা এবং কোনো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার লিখিত অভিযোগ করেনি যদি কোনো ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমি প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.