কিশোরগঞ্জ হাওরের প্রবেশ মুখ কুলিয়ারচর। প্রায় অনেক দিন ধরে হাওর এলাকার সাথে কুলিয়ারচরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বললেই চলে। কালী নদীতে প্রচুর পরিমান কচুরীপানা থাকায় কোন ধরনের নৌকা ও লঞ্চ পাড়ে ভিড়াতে পারছেনা। ফলে যাত্রীরা প্রায়ই পড়ছে বিপাকে। কিছু সংখ্যক নৌকা পাড়ে ভিড়াতে চেষ্টা করেলেও সেগুলো মাঝপথে এসে আটকা পরে যায়। এতে যাত্রীরা বিপদে পরে ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা মাঝনদীতে সময় কাটাতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে মালবাহী কিছু বড় বড় নৌকা মাঝ নদীতে কচুরীপানার মধ্যে আটকা পরে স্থায়ীবাসিন্দা হয়ে আছে অনেক দিন ধরে । দূরপাল্লার নৌকা- লঞ্চ পাড়ে ভিড়াতে না পাড়ার কারণে এগুলো কুলিয়ারচর মূখী হচ্ছে না, যার ফলে কুলিয়ারচর মৎস্য আড়ৎ এর ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। নৌকা-লঞ্চ দিয়ে হাওড় এলাকা থেকে প্রচুর পরিমান মাছ আসতো কুলিয়ারচর বাজার আড়ৎ-এ। এসব মাছ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে রপ্তানী হতো। মাছ না আসার কারণে মৎস্য ব্যবসায়ীরাও বিপাকে পরেছে। নদী পাড়ি দিয়ে বাড়ী ফেরা হাওরের লোকজন, কুলিয়ারচর বাজারের চাউল, মুদী, কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যবসায়ীরাও পরেছে চরম বিপাকে। এসব কিছুর মূল হচ্ছে এ সর্বনাশা কুচুরীপানা। অনেক দিন যাবৎ কুচুরীপানা গুলো কালী নদীতে আটকা পরে থাকলেও দেখার কেউ নেই। অপসারণে কেউ এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। কুচুরীপানা অপসারণের জন্য স্থানীয়রা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, কুলিয়ারচর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি – সাধারণ সম্পাদকসহ সরকারের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।