কুমিল্লার হোমনায় করোনায় লাশের জন্য খাটের ব্যবস্থা করবে পুলিশ ।করোনায় মারা যাওয়া রোগীর দেহ থেকে ভাইরাস ছড়ায় এমন গুজবের কারনে মৃতে লাশ দাফনে কেহ এগিয়ে আসে না। এমনকি লাশ বহনে খাটিয়াও দেয়া হচ্ছে না। প্রায়ই এমন খবর আসছে গণমাধ্যমে। এই পরিস্থিতিতে করোনায় মারা যাওয়া মৃতদেহ বহনের জন্য খাটের ব্যবস্থা করেছেন হোমনা থানা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) হোমনা-মেঘনা সার্কেলের সিনিয়র এএসপি মো.ফজলুল করিম ও ওসি আবুল কায়েস আকন্দ নিজস্ব অর্থায়নে এ খাটের ব্যবস্থা করেন। খাটিয়াটি হোমনা থানায় থাকবে । ফোন পেলেই মৃতের বাড়িতে খাট পৌছে দিবে পুলিশ।
সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফজলুল করিম বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে কেউ মারা গেলে ভয়ে লাশ দাফনে কেহ এগিয়ে আসে না। অনেক জায়গায় বাধা দেয়া হচ্ছে। এমনকি লাশ বহনের জন্য খাটিয়া পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না । গত ১৬ এপ্রিল রাতে সাড়ে ৪ বছরের নুসরাত তথৈই নামের একটি শিশু তার নানার বাড়িতে মারা গেলে করোনা সন্দেহে তার লাশ বহনের জন্য একটি খাট পাওয়া গেল না । এ ঘটনা দেখে আমি এবং ওসি সাহেব মিলে এই সিদ্ধান্ত নেই। উপজেলার যেকোনো গ্রাম থেকে থানায় অথবা আমার নিকট ফোন করলেই খাট পৌছে দিবো সেই বাড়িতে ।
দোয়া করি আল্লাহ যেন হোমনার মানুষকে ভালো রাখে। যাতে খাটিয়ার দরকার না হয় । তবে বিশেষজ্ঞদের মতে মৃতদেহ থেকে করোনা ভাইরাস ছড়ায় না। এই বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তারপরও কোথাও কোন সমস্যা হলে পুলিশ সার্বিক সহযোগীতা করবে । পুলিশ কর্মকর্তাদের এমন উদ্যোগ মানবিকতার বড় উদাহরণ হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।