২০ এপ্রিল ২০২০ মঙ্গলবার, ভয়েস অফ কুমিল্লার সদস্যরা অসহায় কৃষকের জমির ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার স্বেচ্ছা শ্রমের কাজ শুরু করেছেন। অাজ উপজেলার ভিটি কালমিনা এক কৃষকের জমির ধান কাটার মধ্য দিয়ে সংগঠণটির স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কাটার কার্ক্রম শুরু হলো।
“কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ” এ স্লোগান কৃষি প্রধান দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য। ইতিমধ্যে মহামারী করোনাভাইরাসের ছোবলে আক্রান্ত বিশ্ব ব্যবস্থা। বিশেষজ্ঞগণের বিশ্লেষণ মতে করোনার প্রভাব পরবর্তী খাদ্যসংকটে ক্ষুধার্ত মানুষগুলোকে সামাল দেয়া হবে বিশ্ববাসীর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
বাংলাদেশ ও তার মধ্যেই। আমাদের দেশের চলমান এই মৌসুমটা কৃষকের জমির পাকা ধান ঘরে তোলার সময়। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন বহাল থাকায়, ঘরের বাহিরে যাচ্ছেন না শ্রমজীবী মানুষ গুলো। ফলে কৃষকের কপালে চিন্তার রেখা ফুটে উঠেছে জমির পাকা সোনালি ধান কিভাবে আনবেন তাদের ঘরে!
বিষয়টি মাথায় নিয়ে ভয়েস অফ কুমিল্লা সংগঠনের অন্যতম সংগঠক ইকবাল হোসেন তুষার এর নেতৃত্বে সংগঠনের সকল সদস্যবৃন্দ এই মুহূর্তে কৃষকের সোনালী ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার, স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব নিয়ে আছেন ধানের জমিতে। কার্যক্রমের শুরু হয় আজ উপজেলার ভিটি কালমিনা গ্রামের এক দায়গ্রস্থ কৃষকের পাকা ধানের জমি দিয়ে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইকবাল হোসেন তুষার জানান, ভয়েজ অফ কুমিল্লার উদ্দেশ্যই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে স্বেচ্ছাশ্রম কাজ করা, আইনসম্মত ভালো কাজের সাথে আমরা সব সময় আছি এবং থাকব। কৃষকের এই দুর্দিনে আমরা তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি, এবং যাদের খুব সমস্যা জমির পাকা ধান উঠাতে পারছেন না। এমন কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দেয়ার স্বেচ্ছাশ্রম কাজ করছি অামরা।
আমাদের লোকবল ও সামর্থ্য অনুযায়ী এই কাজ অব্যাহত থাকবে ইনশাল্লাহ।