সামাজিক দুরুত্ব বজায় রেখে ভোলা-২ আসনের তরুন সাংসদ আলহাজ্ব আলী আজম মুকুল এমপি, শনিবার সকাল ৯ টা থেকে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ত্রাণ বিতরণ করেন। দক্ষিন জয়নগর ইউনিয়নে প্রায় ২ হাজার মানুষের মধ্যে সরকারি বরাদ্ধের ত্রাণ দেন তিনি। কৃষক কে উৎসাহ দিতে দৌলতখান পৌর সভায় নিজ অর্থায়নে ক্রয় করা তরমুজ বিতরন করেন মানুষের মধ্যে।
উওরজয়নগর ইউপিতে ২ হাজার, হাজিপুর পাচশতাধিক, ভবানিপুর এ পাচশতাধিক চরখলিফা ২ হাজার চরপাতা ২ হাজার মেদুয়া, মদনপুর পাচশত মানুষের মাঝে সরকারি বরাদ্ধের ত্রাণ বিতরণ করা হয়। ১০ কেজি চাল, মিষ্টি কুমড়া, আলু, ডাল, লবন, তৈল, সাবান দেওয়া হয় মানুষকে। সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে উল্ল্যেখিত খাদ্য সামগ্রি বিতরণ করেন এমপি মুকুল।
তিনি সরকারের নির্দেশনা মেনে জনগন কে ঘরে থাকার আহবান জানান, স্থানীয় প্রশাসন কে সহায়তা করতে অনুরোধ করেন এমপি মুকুল। দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই, দেশ খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ন, যতদিন করোনা ভাইরাসের দুর্যোগ থাকে তত দিন আপনার ঘরে বসে খাদ্য পাবেন। সরকারের সহায়তার পাশা পাশি আমার নিজ উদ্দ্যোগে আপনাদের কাছে খাবার পৌছে দেওয়া হচ্ছে এবং এবং তা অব্যহত থাকবে। দৌলতখান, বোরহানউদ্দিনে আমার ১০০ জন সেচ্ছাসেবক কাজ করছে তারা আমার ব্যক্তিগত খাদ্যসামগ্রি প্রতিদিন পৌছে দিচ্ছে।
হটলাইন চালু হয়েছে সেখানে ফোন করলেই খাদ্য নিয়ে হাজির হচ্ছে সেচ্ছাসেকরা। মধ্যেবিত্তদের গোপনে পৌছানো হচ্ছে খাদ্য। ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমরা এ দুর্যোগ কাটিয়ে উঠবো। মাননীয় প্রধানমন্রী আপনাদের খাদ্য সহায়তা নিশ্চিতে দিন রাত কাজ করছেন। শেখ হাসিনার সরকার মানুষের পাশে আছে থাকবে। আপনারা ঘরে থাকুন যেকোন প্রয়োজনে আমি আপনাদের পাশে আছি। আপনারা আমার আপন জন আমি সবসময় আপনাদের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম আছি।
সকল চেয়ারম্যান, মেম্বার “রা কাজ করছে আপনাদের জন্য, আপনারা ঘরে থাকুন। কৃষকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন কোন জমি যাতে খালি পড়ে না থাকে বেশি ফলনশীল বীজ বপন করতে হবে। সরকার সার, বিজ সহ সকল সহায়তা অব্যাহত রেখেছে বিনা মুল্যে। ৫০ লক্ষ মানুষকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেশন কার্ডের মাধ্যেমে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার ঘোষনা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকার বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কাজ করে। রমজানে মানুষের খাদ্যে কোন কষ্ট হবেনা বলে নিশ্চিত করেন এমপি মুকুল। তিনি বলেন রমজানে নিত্য পন্য বাজার নিয়ন্ত্রনে রাখতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে।
দ্রব্য মুল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশে কেউ না খেয়ে থাকবেনা, সব পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আপনারা সরকারের নির্দেশনা মেনে চলুন, ঘরে থাকুন, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করুন। ত্রান বিতরণে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মন্জুর আলম খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র কুমার নাথ, উপজেলা পরিষদ ভাইস- চেয়ারম্যান ছিদ্দিক মিয়া।