করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়ায় কুমিল্লার তিতাস উপজেলার হরিপুর গ্রামের মোঃ জয়নাল হাজীর বড় ছেলে ইতালী প্রবাসী মোঃ বিল্লাল হোসেনের অর্থায়নে ও তাদের পারিবারিক উদ্যোগে অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন এমন ৬’শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলম সরকারের নেতৃত্বে গতকাল ১২ এপ্রিল রবিবার হতে ১৪ এপ্রিল মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত তিতাস উপজেলার মাছিমপুর, হরিপুর, রতনপুর, কদমতলী, পোড়াকান্দি, আলীনগর ও দুলারামপুরসহ ৭টি গ্রামের মানুষের মাঝে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এছাড়া আরো ৪০টি পরিবারের মাঝে ১ বস্তা (৫০ কেজি) করে চাল বিতরণ করা হয়। খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ পারভেজ হোসেন সরকার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মহসীন ভূঁইয়া, ৫ং কলাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মজিবুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ইকবাল হোসেন বাবুল, বিল্লাল হোসেনের মামা মোঃ দুলাল মিয়া, ছোট ভাই ইতালি প্রবাসী নুর নবী, হাসিব হাসান খান,
সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গাজী শাহজালাল, ১নং ওয়ার্ড মেম্বার শাহজান ২নং ওয়ার্ড মেম্বার কামাল হোসেন, ডালিম সরকার, ফারুক সরকার, জামাল সরকার, মিজান সরকারসহ অনেকে।
সারাবিশ্ব যখন প্রাণঘাতী করোনার আঘাতে জর্জরিত বাংলাদেশেও এর ছোঁয়া পড়েছে। এর ছোঁবল থেকে বাঁচতে আবদ্ধকরণ করা হয়েছে পুরো বাংলাদেশকে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটাই এখন কষ্টকর।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামীলীগ নেতা আলম সরকার বলেন, আমার ছোট ভাই ইতালি প্রবাসী বিল্লাল হোসেনের অর্থায়নে স্থানীয় সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী ও উপজেলা চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকারের নির্দেশে আজকের এই উদ্যোগ। আশা করি এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এই ভাবে যেনো সে মানুষের পাশে দাড়াতে পারি সকলের কাছে দোয়া কামনা করি।
অন্যদিকে বিল্লাল হোসেনের ছোট ভাই নুর নবী বলেন, আমি ইতালি থেকে এসেছি এক মাস হবে। ইতালিতে কোবিড-১৯ ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। আমার বড় ভাইসহ অনেকেই নিরাপদে আছেন। এই জন্য মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কুটি শুকরিয়া আদায় করছি এবং আমার ভাইয়ের সকলের কাছে দোয়া চাচ্ছি।