নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউপি’র মজিরখিল মজুমদার বাড়ীতে ২২টি পরিবারকে লকডাউন করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম মজুমদার। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে জ্বর নিয়ে এক সপ্তাহ আগে নিজ বাড়ীতে আসেন ফজলুল হক (৫৫)।এর মধ্যে সর্দি,কাশ,গলা ব্যাথা ও শ্বাসকষ্টে তিনি অসুস্থ হয়ে গোপনে চিকিৎসা নিলেও উপসর্গ গুলো বেড়ে যায়। খবর পেয়ে রবিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম মজুমদার, ইউআরসি ইনস্ট্রাক্টর মো: মোস্তাক হোসেন,চেয়ারম্যান বেলাল ভূঁইয়া, থানার এএসআই অরুপ, স্বাস্থ্য বিভাগের ইন্সপেক্টর ওবায়দুল হক, ইউপি সদস্য জাকির হোসেন সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য সহকারীরা ওই বাড়ীতে যান। ১৭ ফুট দুরত্বে অবস্হান করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম মজুমদার ফজলুল হকের খোঁজ খবর নেন।এসময় করোনা উপসর্গের লক্ষণ উপলব্ধি করে অসুস্থ ফজলুল হক ও তার স্ত্রী চিকিৎসা নিতেও নমুনা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম মজুমদার জেলা প্রশাসক ও সিভিল সার্জনের সাথে কথা বলে সরকারী খরচে তাকে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করেছেন।এদিকে তার স্ত্রী এক ছেলে, চার মেয়েকে ১৫ দিনের জন্য হোমকোয়ারেন্টাইনে থাকা সহ ওই বাড়ীর ২২টি পরিবারকে নিরাপদে থাকতে বাড়ীর চর্তুরদিকে রেকি করে লকডাউন জারী করেছেন। মৃত সেকান্তর আলীর পুত্র ফজলুল হক ঢাকার কেরানীগঞ্জ একটি ওয়ার্কশপের শ্রমিক ছিলেন।হতদরিদ্র ফজলুল হকের পরিবারকে ১৫ দিনের জন্য সরকারী খাদ্য সহায়তা দেবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম মজুমদার। বিকেল সাড়ে ৫টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম মজুমদার জানান,২/১ দিনের মধ্যেই নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনারোগী সনাক্ত ও চিকিৎসা সুবিধা পাবে বৃহত্তর নোয়াখালীবাসি। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনায় তাকে সেনবাগ সরকারী হাসপাতালে নিবীড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।