সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী আকার ধারণ করছে। দিন দিন দেশে করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এ ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোনো প্রতিষেধক না থাকায় সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত এবং সচেতনতা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
সরকারের একার পক্ষে এই করোনা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় যদি না দেশের মানুষ সচেতন হন। সরকার থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মানুষকে প্রতিদিনই সচেতন করার চেষ্টা করছে। তাদের এই সচেতনতা কেউ মানছেন, কেউ আবার মানছেন না।
যাঁরা মানছেন তাদেরও রক্ষা পাওয়ার উপায় নেই।কারণ ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লোকজন সমাগম সৃষ্টি করছে বিভিন্ন জায়গায়। ভাইরাস সম্পর্কে সচেতন থাকা ব্যক্তিকে হয়তো শীঘ্রই ঠেলে দিতে পারেন এই মহামারীর দিকে।
আমি ভোলার সন্তান। ভোলা জন্মস্থান হওয়ায় ভোলার প্রতি মমতা আমার সবচেয়ে বেশি। শুধু আমি নই, যেকেউ ই তার জন্মস্থানকে ভুলতে পারেনা। বেঁচে থাকলে জন্মস্থানের নাম মনে পড়বেই।
আজ বিশ্ব খুব কঠিন দিন অতিবাহিত করে যাচ্ছে।সারা বিশ্বের বুকে এখন কঠিন আর্তনাদ। যে এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। একমাত্র সে ই বুঝে নিরাপদ থাকা কতটা জরুরি।
আজ দেশের এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ভালো নেই আমার ভোলা আমাদের ভোলা। প্রশাসন খুবই কঠিন হয়ে উঠছে দিনদিন। শহরসহ গ্রামজুড়ে চলছে প্রশাসনের টহল। এদিকটা প্রশাসনের জন্য দায়িত্বশীল হলেও দ্বীপ জেলা ভোলার ইলিশা কি প্রশাসনের আওতাধীন নয়। ভোলার মানুষ বেশ ভালোই রয়েছিলো। আল্লাহ পাক ভোলার মানুষকে বেশ ভালোই রেখেছিলো। আজ ভোলার এ অবস্থার মধ্যেও দেশের নানান প্রান্ত থেকে ট্রলার স্পিডবোটে আসছে হাজার হাজার যাত্রী। এসব যাদের হাতে নেই গ্লোভস, মুখে নেই মাস্ক। করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এদের যেন কোন সচেতনতা নেই। এরা প্রতিদিন প্রবেশ করছে ভোলায় আর ভাইরাসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে অন্যকেও।
এখনো যদি ভোলার এই পথ বন্ধ না করা হয়। তাহলে বলব ভোলায় করোনা ভাইরাস আসার পথই এটা। ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছেও ইলিশার এই পথ দিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে ভোলায় প্রবেশ করেছে করোনা ভাইরাসে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা এক যুবক। বেশকিছু দিন সে আত্নগোপনে থাকার পর অবশেষে তা আজ প্রকাশ পেলো। এভাবে হয়তো আরও কতজন আত্নগোপনে রয়েছেন তা বলা বাহুল্য।
তাই তো মনে করি এই মুহুর্তে আমার প্রিয় ভোলা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।