ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে কুমিল্লায় জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। বরাবরের মতো এবারও বড় গরুর চেয়ে মাঝারি গরুর চাহিদা বেশি। দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বুধবার (১২ জুন) কুমিল্লার বিভিন্ন পশুর হাটে বিপুল সংখ্যক কোরবানির পশু বিক্রির জন্য আনা হয়। ঈদের আরও ৩ দিন থাকলেও পশু বিক্রি হচ্ছে ভালো। এদিকে চান্দিনা উপজেলায় ৪টি পশুর হাট থাকলেও ঈদ উপলক্ষে ১৭টি স্থানে অস্থায়ী হাট বসানো হয়েছে। পশুর হাটকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, নির্বিঘ্নে যান চলাচল, জাল নোট শনাক্তকরণ মেশিনসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। শাহজালাল সরকারের তথ্যমতে, পশুর দাম ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে বাজার ইজারাদার হাজী মো. চান্দিনার ছাইকোট হাটে গরু, ছাগল, ছাগলসহ ছয় শতাধিক কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, তাদের প্রধান টার্গেট আগামী শনিবারের বাজার। এই ‘বাজার’কে ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা। ইতোমধ্যে মার্কেটের ভেতরে প্রবেশের প্রধান সড়ক মেরামত করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের জন্য খাবার ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোরবানীর পশুর হাটে গিয়ে ক্রেতারা বলছেন, গতবারের চেয়ে এবার দাম একটু বেশি। হাটে ছোট-বড় গরু দেখা যাচ্ছে। কোরাবানীর পশুর হাটে আসা বিক্রেতারা বলছেন, তারা দাম ঠিক রেখে বিক্রির চেষ্টা করছেন। তবে এবার সরবরাহ বেশি হওয়ায় কোরবানির পশুর দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় লোকজন বিভিন্নভাবে হাটে গরু নিয়ে আসলেও দূরদূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা ট্রাক যোগে বিপুল সংখ্যক গরু হাটে নিয়ে আসেন। হাটে হাজির হয়েছে বিভিন্ন আকারের গরু। এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুলিশ ও বাজার কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে আলাদা টিম গঠন করা হয়েছে। স্থায়ী বাজারে নকল শনাক্তকরণ মেশিন বসানো হয়েছে। ক্রয়-বিক্রয় নির্বিঘ্নে করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, কুমিল্লায় এ বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ২ লাখ ৪১ হাজার ৬৪টি। এর বিপরীতে কোরবানির পশু রয়েছে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫২টি। সে হিসেবে কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে আট হাজারের বেশি পশুর উদ্বৃত্ত থাকবে। এ বছর কুমিল্লার ১৮টি থানা এলাকায় মোট ৪০৯টি স্থায়ী ও অস্থায়ী পশুর হাট বসানো হবে।