কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এক দিনে (১৯ এপ্রিল) ২০ জন সহ ৩৫ জন ব্যক্তির কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাজ সনাক্ত হওয়ার পর আতংকিত হয়ে পরেছে মানুষ। অপর দিকে জনসাধারণের মাঝে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে নেই কোন সচেতনতা। অধিকাংশ মানুষই মানছেনা লকডাউন কিংবা সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা। এমন পরিস্থিতে এ প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের হাত থেকে ভৈরব বাসীকে রক্ষা করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ভৈরব সেন্ট্রাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান কবির প্রশাসনের নিকট এ উপজেলাকে ১৪৪ ধারা কার্ফিও জারী করার দাবী জানান।
তিনি তার ফেইসবুকে ট্যাটাস দিয়ে বলেন, প্রানের শহর ভৈরব কে বাঁচান। কার্ফিও, কার্ফিও এবং কার্ফিও।প্রশাসন এর সাথে স্হানীয় নেতা সাংবাদিক সুশীল সমাজ বসে সিদ্ধান্ত নেন। এমনিতেই দেরি হয়ে গেছে।
জানা যায়, গত রোববার (১৯ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী কিশোরগঞ্জ জেলায় সর্বশেষ নতুন ৪০ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা শেষে ২৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে ভৈরব ২০ জন, অষ্টগ্রাম ২ জন ও হোসেনপুর ১জন। এর মধ্যে ১২ জন পুরুষ ও ১১ মহিলা। এ নিয়ে এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ জেলায় মোট ৯৭ জন আক্রান্ত হয়েছে।
আরও ৮০ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা যায়।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে ১২৫ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এদের মধ্যে ১৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ৪০ জনের রিপোর্ট অনুযায়ী কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে ২৩ জন। নেগেটিভ পাওয়া গেছে ১৭ জনের। এদের মধ্যে ভৈরব থেকে ৩৪ জনের পাঠানো নমুনার রিপোর্ট অনুযায়ী রোববার (১৯এপ্রিল) পজিটিভ পাওয়া গেছে ২০ জন। এর মধ্যে ৯ জন মহিলা ও ১১জন পুরুষ রয়েছে । এপর্যন্ত সব মিলিয়ে ৯৮ জনের নমুনা পাঠানোর পর সর্বমোট ৩৫ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে।
এদের মধ্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), ৮ জন চিকিৎসক, ১৯ জন নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী সহ পুলিশ অফিসার, পুলিশ সদস্য, এসিল্যান্ড এর গাড়ির ড্রাইভার সহ মোট ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ বুলবুল আহম্মদ।