প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৫:২২ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, ৯:২৩ পি.এম
৯ ডিসেম্বর দাউদকান্দি মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
শাহাবুদ্দাদিন আহমেদ, দাউদকান্দিঃ
৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে দাউদকান্দি হানাদার মুক্ত হয়। এ উপলক্ষে ৯ ডিসেম্বর শনিবার দাউদকান্দি মুক্তিযুদ্ধা কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভা ও রেলী অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূইয়া। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের প্রশাসক মো. মহিনুল হাসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর অব. মোহাম্মদ আলী সুমন, মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মো মোজাম্মেল হক, মুক্তযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরেশদ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সোহরাব হোসেন সহ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ। সঞ্চালনায় ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা লিয়াকত আলী, সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক, দাউদকান্দির ক্রীড়া সংগঠন সোনালী অতীতের সভাপতি কামরুল হাসান গরীব।
উল্লেখ ৭১ এর আজকের এইদিনে দাউদকান্দি হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি সেনারা পিছু হটতে শুরু করলে দাউদকান্দির বীর মুক্তিযোদ্ধারা মানসিকভাবে দ্বিগুণ শক্তিশালী হয়ে ওঠেন।
তাঁরা ইলিয়টগঞ্জ,শহিদনগর ওয়্যারলেস কেন্দ্র এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের দাউদকান্দি ডাক বাংলোতে অবস্থানরত সেনাদের টার্গেট করে উত্তর ও দক্ষিণ দিক থেকে একযোগে আক্রমণ শুরু করেন।
বৃহত্তর দাউদকান্দির মোহাম্মদপুর, ডাকখোলা, গোয়ালমারী, বাতাকান্দি এসব এলাকার ক্যাম্প থেকে মুক্তিযোদ্ধারা সামনে এগোতে থাকেন। পূর্ব দিক থেকে মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করলে পাকিস্তানি সেনারা পশ্চিম দিকে সরে যেতে শুরু করেন।
৮ ডিসেম্বর রাত থেকে ৯ ডিসেম্বর সকাল ১১টা পর্যন্ত যুদ্ধের পর পাকিস্তানি সেনারা দাউদকান্দিতে তাঁদের শেষ আশ্রয়স্থল সড়ক ও জনপথের বাংলোতে ওঠেন। সেখান থেকে লঞ্চে মেঘনা নদী দিয়ে গজারিয়া হয়ে ঢাকায় পালিয়ে যান। দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা দাউদকান্দি পৌঁছে পাকিস্তান বাহিনী মুক্ত দাউদকান্দিতে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা ওড়ান। দাউদকান্দি হয় হানাদার মুক্ত। সে থেকে ৯ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত দিবস পালন করে মুক্তিযুদ্ধা ও প্রশাসন।
dainikajkermeghna.com