কথায় আছে, ‘চোরের ওপর বাটপারি।’ ঠিক এমনটাই ঘটেছে যশোরের শার্শায়। চোরাচালানীর কাছ থেকে আট পিস সোনার বার ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় ছিনতাইয়ের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাগআচঁড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই তবিবর রহমান (৩২), রঞ্জন কুমার মৈত্র (৩৭) এবং পুলিশ কনস্টেবল (গাড়িচালক) তুষার সরকার (২৮)।
শার্শা থানার এসআই আবুল হাসান দায়ের করা এজাহারে উল্লেখ করেন, গত ১৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সামটা জামতলা এলাকায় ডিএসটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে রেজাউল মাস্টারের বাড়ির পাশে পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাই সংঘটিত হয়। বিষয়টি জানার পর অনুসন্ধানে নামে পুলিশ।
পরে জানা যায়, ওই তিন পুলিশ সদস্য শার্শার মহিষাকুড়া গ্রামের আপদিনের ছেলে আক্তারুল (২৩) এবং আব্দুল মালেকের ছেলে সাজেদুরকে আটক করে। তারা বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের না জানিয়ে আত্মসাৎ করে এবং ওই দুই চোরাচালানীকে ছেড়ে দেয়।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই তিন পুলিশ সদস্যকে শার্শা থানায় ডেকে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা বিষয়টি স্বীকার করেন এবং সোনার আটি বার ফেরত দেন। এএসআই তবিবর রহমান তার পরিহিত প্যান্টের মধ্যে থেকে স্কচটেপ দিয়ে বিশেষ কায়দায় মোড়ানো সোনার বারগুলো বের করে দেন। ওই বার গুলোর ওজন ৮৫ ভরি ১১ আনা ১ রতি ২ পয়েন্ট। যার বর্তমান মূল্য ৪০ লাখ ২৭ হাজার ৮০৭ টাকা।
শার্শা থানার এসআই আবুল হাসান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে তিন পুলিশ সদস্যকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুর রহিম হাওলাদার জানিয়েছেন, ওই দুই চোরাচালানীর বিরুদ্ধেও শার্শা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।সূত্রে: ইত্তেফাক