৪১৯ হজযাত্রী নিয়ে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রথম ফ্লাইট বিজি-৩০০১।
বৃহস্পতিবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে প্রথম ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে। বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলরুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
রাজধানীর আশকোনা হজক্যাম্প থেকেই যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, এ বছর যাতে কোনো দুর্ভোগ না হয়, সে বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
বিমানে হজযাত্রীদের যাত্রার তারিখ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গমনের ২৪ ঘণ্টা আগে ২০০ মার্কিন ডলার ও যাত্রার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রা পরিবর্তনের জন্য ৩০০ মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বাড়তি মাসুল আদায়ের বিধান করেছে এয়ারলাইনসটি। এ ছাড়া নির্ধারিত ফ্লাইটে না গেলে টিকিটের অর্থও ফেরতযোগ্য হবে না।
এজেন্সি মালিকদের সংগঠন ‘হাব’ জানিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে হজ করতে সৌদি আরব যাচ্ছেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন।
এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ১৯৮ ব্যালটি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৬ হাজার ৪০১ নন-ব্যালটি হজ করতে যাচ্ছেন।
বিমানের তথ্যমতে, এবার হজ মৌসুমে সিডিউলসহ মোট ৩৬৫টি ফ্লাইটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ৬৩ হাজার ৫৯৯ হজযাত্রী পরিবহন করবে। অবশিষ্ট যাত্রী পরিবহন করবে সৌদি এয়ারলাইনস।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টায় এ বছরের হজযাত্রা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ।
সকাল সোয়া ৭টায় উদ্বোধনী ফ্লাইট বিজি-৩০০১ জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে। এ ছাড়া একই দিন হজ ফ্লাইট বিজি-৩১০১ বেলা সোয়া ১১টায়, বিজি-৩২০১ বিকাল সোয়া ৩টায়, বিজি-৩৩০১ সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় ও সিডিউল ফ্লাইট বিজি-০০৩৫ রাত সোয়া ৮টায় হাজীদের নিয়ে যাত্রা করবে।
জানা যায়, হজ মৌসুমে দুই মাসব্যাপী ৩০৪টি ডেডিকেটেড ও ৬১টি সিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান।
৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রি-হজে ১৮৯টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে (ডেডিকেটেড ১৫৭ ও সিডিউল ৩২)।
পোস্ট হজে ১১৫টি ফ্লাইট চলবে ১৭ আগস্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (ডেডিকেটেড ৮৬ ও সিডিউল ২৯)। তার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে মদিনা ১৮টি ও মদিনা থেকে বাংলাদেশে ১৫টি সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
এ ছাড়া চট্টগ্রামে ১৯টি ও সিলেট থেকে ৩টি হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। বিমানের জনসংযোগ বিভাগ জানায়, এ বছর হজযাত্রীদের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পরিবহনের জন্য বিমানের ৪টি নিজস্ব বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী বিমানের নিয়মিত সিডিউল ফ্লাইটেও হজযাত্রীরা জেদ্দায় যাবেন। ঢাকা থেকে জেদ্দা প্রতি ফ্লাইটের উড্ডয়ন সময় হবে প্রায় ৭ ঘণ্টা।
বিমানের উপমহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, হজযাত্রী পরিবহন করতে সব প্রস্তুতি নিয়েছে বিমান।
হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম যুগান্তরকে বলেন, আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। আশা করি, এবার হজযাত্রীদের কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।সূত্র: যুগান্তর