৩১ অক্টোবর ভাগ হবে কাশ্মীর

আন্তর্জাতিক

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের ৭০ বছরের বিশেষ মর্যাদা গত সোমবার বাতিল করে নরেন্দ্র মোদির সরকার। রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মধ্য দিয়ে বাতিল হয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা।

এদিকে লোকসভায় পাশ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ৩১ অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্য ভেঙে যাবে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যকে দুই টুকরা করে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য থেকে লাদাখকে বের করে তৈরি করা হয়েছে নতুন এক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, যার কোনো বিধানসভা থাকবে না।

ওই দুই এলাকার উপরাজ্যপাল কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রথম নামটি হল সাবেক আইপিএস অফিসার বিজয় কুমার। তামিলনাড়ুর ১৯৭৫ ব্যাচের ওই আমলা ২০১৮ সাল থেকে রাজ্যপাল সত্যপাল মালিকের পরামর্শদাতা রয়েছেন। চন্দন দস্যু বীরাপ্পনকে নিকেশের পিছনেও ছিলেন ওই আমলা। ১৯৯৮ থেকে ২০০১ পর্যন্ত বিএসএফ-এর আইজি হিসাবে কাশ্মীরে ছিলেন বিজয়। জঙ্গি দমনে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের লক্ষ্যেই বিজয়কে রাজ্যপালের উপদেষ্টা নিয়োগ করা হয়েছিল।

দ্বিতীয় নামটি ১৯৭৬ সালের কেরল ক্যাডারের আইপিএস দীনেশ্বর শর্মার। ২০১৭ সালে জম্মু-কাশ্মীরের মধ্যস্থের দায়িত্ব পান তিনি। শান্তি ফেরাতে রাজনৈতিক দলগুলি ছাড়া হুরিয়তের সঙ্গেও কথার পক্ষপাতী ছিলেন তিনি। তবে পিডিপি সরকার থেকে বিজেপি সমর্থন তুলে নিতেই তাঁর দায়িত্বও কার্যত শেষ হয়ে যায়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রের মতে, আগামী কয়েক মাস যে কাশ্মীরে অস্থিরতা বজায় থাকবে, তা স্পষ্ট। এখনই ভোট হচ্ছে না। ফলে শাসন ক্ষমতা গোটাটাই থাকবে উপরাজ্যপালের হাতে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সূত্র বলেছে, দু’জনকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দায়িত্বও দেওয়া হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.