প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪, ৫:৫১ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ৩, ২০১৯, ৬:৩৯ পি.এম
১৮ দিন পর চোখ মেললেন জননন্দিতশিল্পী সুবীর নন্দী।
- সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের এমআইসিইউতে চিকিৎসাধীন দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী র্দীঘ ১৮ দিন পর শুক্রবার (৩ মে) চোখ মেলেছেন। চোখ খুলে মেয়ে ফাল্গুনীকে দেখে অঝোরে কেঁদেছেন তিনি।ফাগুনী নন্দী বলেন, আজ (শুক্রবার) বাবা চোখ মেলেছেন। চোখ মেলে আমাকে দেখার পর অঝোরে কাঁদেন তিনি। বাবার জ্বর এখন নিয়ন্ত্রণে। আজই এমআরআই করার কথা রয়েছে। বাবার জন্য সবাই দোয়া করবেন। বাংলাদেশে সুবীর নন্দীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করেছেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন তিনি। সামন্ত লাল গণমাধ্যমকে জানান, সুবীর নন্দী চোখ মেলেছেন। উনার মস্তিষ্কের কাজ করা নিয়ে ভীষণ টেনশনে ছিলাম। শুনলাম, ব্রেন আস্তে আস্তে কাজ করছে। গত ১৪ এপ্রিল রাতে পরিবারসহ সিলেট থেকে ফিরছিলেন সুবীর নন্দী। রাত ৯টা নাগাদ উত্তরার কাছাকাছি আসতেই হঠাৎ সুবীর নন্দীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। পরে ট্রেন থেকে নামিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সিএমএইচে দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর গত ৩০ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয় সুবীর নন্দীকে।৷ তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছেন তার বাবা। ল্যাব এইড হাসপাতালে নিয়মিত ডায়ালাইসিস করান তিনি। কিডনি ছাড়াও বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন সুবীর নন্দী।নন্দিত সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী ৪০ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে গেয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি গান। রেডিও, টেলিভিশন, চলচ্চিত্রে নিয়মিত গাইছেন এখনও। চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। আর চলতি বছরে সংগীতে অবদানের জন্য সুবীর নন্দী পান দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক।
dainikajkermeghna.com