জাতিসংঘের হিসাবে গত বছর দিনে গড়ে ৬ জন করে অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয় ভূমধ্যসাগরে।লিবিয়া উপকূল থেকে ২৯০ অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ১৪ জন বাংলাদেশি। শুক্রবার লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির পূর্ব উপকূলে দুটি পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের উদ্ধার করা হয়।
[caption id="attachment_2880" align="alignnone" width="300"] ছবি: রয়টার্সভূমধ্যসাগরের[/caption]
বার্তা সংস্থা এপির বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে ১৪ বাংলাদেশি উদ্ধারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
লিবিয়ার নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র ২৯০ জন অভিবাসী উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ভাগ্য ফেরাতে ইতালির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা অভিবাসীরা মূলত লিবিয়ার পশ্চিম উপকূল দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন।
নৌবাহিনীর মুখপাত্র আয়ুব কাসেম বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ত্রিপোলি থেকে ৫০ কিলোমিটার পূর্বের শহর কারাবুলি উপকূলে অভিযান চালিয়ে রাবারের নৌকা থেকে ৮৭ অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। ত্রিপোলি থেকে ১৬০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত জ্লিতিন শহরের উপকূল থেকে আরেক অভিযানে দুটি রাবারের নৌকা থেকে ২০৩ জন অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে ৭ জন নারী ও এক শিশুর উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে রয়টার্স।
আয়ুব কাসেম বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসীরা জরাজীর্ণ ও ভাঙাচোরা নৌকায় ভাসমান ছিলেন। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাঁদের দুটি পৃথক নৌকা থেকে উদ্ধার করে।’ পরে তাদের অবৈধ অভিবাসন বিরোধী বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওয়াশিংটনের পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, এর আগে গত বৃহস্পতিবার জার্মানির একটি দাতব্য সংস্থা লিবিয়ার নৌবাহিনীকে ভূমধ্যসাগরে তিনটি নৌকা ডুবে যাওয়ার খবর জানায়। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই আরব ও আফ্রিকার দেশগুলোর নাগরিক।