জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর আমেরিকায় শুরু হওয়া আন্দোলন শুক্রবার (২৯ মে) রাতে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন হোয়াইট হাউজ পর্যন্ত পৌঁছে যা,। সেসময় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বিশেষ সুরক্ষিত একটি বাঙ্কারে নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাত থেকে আন্দোলনকারীরা হোয়াইট হাউজের আশপাশে জড়ো হতে থাকেন। ভবনের সীমানা প্রাচীরের পাশে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া।
নিউইয়র্ক টাইমস আরো জানায়, এ সময় একসঙ্গে শত-শত মানুষ জড়ো হওয়ায় আমেরিকার সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টরা হঠাৎ হোয়াইট হাউজে যান। তারপর তারা ট্রাম্পকে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারে নেন। অতীতে বিভিন্ন সন্ত্রাসী হামলার সময় এই বাঙ্কার ব্যবহার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্টরা।
টাইমসের প্রতিবেদনে কয়েক জন উপদেষ্টাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতের ঘটনায় প্রেসিডেন্টের পরিবার বিহ্বল হয়ে পড়ে।
ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর ওয়াশিংটনসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে জ্বালাও, পোড়াও এবং ভাংচুর শুরু হয়েছে। ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু থেকেই আন্দোলনকারীদের সমালোচনা করছেন।
শুক্রবার গভীর রাতে তিনি টুইটে লেখেন, ‘যদি তারা সীমানা পার হতো, তাহলে দুষ্টু কুকুরের অভ্যর্থনা পেত। যত্ন করা হতো ভয়ংকর অস্ত্র দিয়ে।’
ট্রাম্পের দাবি, তিনি জর্জ ফ্লয়েডের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। কিন্তু নিহতের ভাই ফিলোনিজ ফ্লয়েড সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ট্রাম্প তাকে কথা বলারই সুযোগ দেননি!