হোমনায় সফল সবজি চাষী ইব্রাহিম মিয়া ৩২০ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করে,করোনার প্রভাবে লোকবল না পাওয়া ও সবজি সঠিক দামে বিক্রি করতে না পেরে লাভের পরিবর্তে পরেছেন লোকসানের মুখে। কুমিল্লার হোমনা উপজেলার চান্দেরচর ইউনিয়নে রামপুর গ্রামের সফল কৃষক ইব্রাহিম মিয়া। প্রায় পরিত্যাক্ত এক ফসলী জমিতে কঠোর পরিশ্রম অার অভিজ্ঞজনের পরামর্শে সবজি চাষের উপযোগি করে তোলেন তিনি! উক্ত জমি গুলোতে সবজি চাষের মধ্য দিয়ে,এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় সবজি বিক্রি করে সফলতার মুখ দেখলেছিলেন কৃষক ইব্রাহিম মিয়া। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ৩২০ শতাংশ জমিতে শসা, লাউ,লুইবা,ধুন্দুল, ডাটা, মিষ্টি কুমড়া,টমেটো সহ বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করেন। কিন্তু মহামারী করোনার প্রভাব, শ্রমিক সংকট,পণ্য পরিবহনে অধিক খরচ সহ স্থানীয় বাজারগুলোতে সবজি মূল্য কম থাকায়। লোকসানের মুখে পড়ে যান বলে জানান চাষী ইব্রাহিম মিয়া। এই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ইব্রাহিম মিয়া জানান, এই জমিগুলোতে গরুকে খাওয়ানোর মতো ঘাস ব্যতীত অন্য কোন ফসল উৎপাদন হতো না। প্রায় বছর ব্যাপি পরে থাকতো পরিত্যক্ত অবস্থায়। অনেক কষ্ট করে ও অনেক লোকসান গুনে এই জমি গুলো সবজি আবাদযোগ্য করে তুলি। এবং গত কয়েক বছর যাবৎ সবজি চাষ করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ ভালোই ছিলাম আমি। কিন্তু এই বছর করোনানার প্রভাব ও ঘূর্ণিঝড় অাম্ফানের কারণে আমি লোকসানের মুখে পড়ে গেছি। আক্ষেপের সাথে ইব্রাহিম মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত তিনি কৃষি ভর্তুকি কিংবা সরকারি নিবন্ধিত কৃষক হতে পারেননি। তবে সরকারি অনুদান কিংবা কৃষি ঋণ পেলে তিনি আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন, এবং সবজি চাষের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারেও পাঠাতে পারবেন। তা না হলে অাবারও গুরুকে খাওয়ানোর ঘাস অাবাদ ছাড়া কোন পথ থাকবেনা তাঁর।