যারা হারাম সম্পদের মালিক, যারা হারাম সম্পদ আয় করেন, সেটা ঘুষ, সুদ, দুর্নীতি, লুট-যেভাবেই হোক না কেন- তা দিয়ে যাকাত দিলে সেটা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, আল্লাহ তাআলা নিজে পরিত্র এবং পবিত্রতাকে তিনি পছন্দ করেন। হারাম সম্পদ অপবিত্র। তাই এ অপবিত্র সম্পদ দিয়ে যাকাত দিলে কবুল হবে না। হারাম সম্পদের যাকাতে সওয়াবের আশা করাটাই বৃথা।
এছাড়া দরিদ্র শ্রেণী যাকাত নেবেন ঠিক আছে। তবে এই নিয়ত রাখবেন না যে, আজীবন যাকাত নেবেন। বরং প্রাপ্ত যাকাত কাজে লাগিয়ে তারা সাবলম্বী হয়ে আগামীতে যেন নিজেরা যাকাত দিতে পারেন সেই লক্ষ্য ও চেষ্টা থাকতে হবে।
আল্লাহর রাসূল ( সা.) বলেছেন, ‘উপরের হাত নিচের হাতের চেয়ে উত্তম’। দাতার হাত গ্রহীতার হাতের চেয়ে উত্তম। তাই পেশা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নেওয়া ঠিক নয। একই সঙ্গে সব সময় যাকাত নিতে থাকা- এটা কোনো প্রশংসার বিষয় নয়। প্রত্যেককে সাবলম্বী হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে হবে।
নিজের শক্তি, সামর্থ্য, বুদ্ধি, জ্ঞান, মেধা, প্রজ্ঞা ও শ্রম দিয়ে যেন সাবলম্বী হতে পারে এই চেষ্টা থাকতে হবে।
ইসলাম সব সময় সাবলম্বী হতে উৎসাহিত করেছে। উপার্জন করতে উৎসাহিত করেছে। একান্ত নিরুপায় অবস্থায় সাহায্য গ্রহণ করতে বলেছে। লেখক: খতিব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।