ক্যারিয়ারে টার্নিং পয়েন্ট
মূলত এশিয়া কাপ ২০১৮-তে দুটো দলের প্রয়োজনে দুটো অর্ধ-শতকের পর বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট মিঠুনের ওপর আস্থা অর্জন করে। কিন্তু মিঠুন সেটা মানতে নারাজ।'আমার এমন নির্দিষ্ট কিছু খেয়াল আসে না, আমি মনে করি না কোনো নির্দিষ্ট কিছু আমার ক্যারিয়ারে প্রভাব ফেলেছে, আমি বিশ্বাস করি, নিয়মিত পরিশ্রম করা ও নিজের কাজটা করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো নির্দিষ্ট ইনিংস বা সিরিজের চেয়ে মিঠুন তার পরিশ্রমের দিকেই বেশি গুরত্ব দিয়েছেন।'
তবে দুবাইয়ে শ্র্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬৩ রানের ইনিংস খেলার পর থেকে ১৪টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছেন মিঠুন।
এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষেও আবুধাবিতে ৬০ রানের ইনিংস খেলেন। ২০১৯ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে দলের সংকটের মুহূর্তে ৬২ ও ৫৭ রানের দুটি ইনিং খেলেন।
বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা
আইসিসি ইভেন্টে এর আগেও খেলেছে মিঠুন। ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তবে ওয়ানডে ফরম্যাটে এটাই মিঠুনের প্রথম বিশ্বকাপ।
আইসিসি ইভেন্টের উইকেট নিয়ে আশাবাদের কথা বলেন মিঠুন, আইসিসি ইভেন্ট ট্রু উইকেটে হয়, ব্যাটিং বা বোলিং করে মজা সেখানে, একটা ড্যাম্প বা টার্নিং উইকেটে খেলার চেয়ে যেখানে বল সুন্দরভাবে ব্যাটে আসে সেখানে খেলাটা উপভোগ করি। প্রায় ৩২ গড়ে ৭৬ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করছেন মিঠুন।
সেঞ্চুরি না পাওয়া নিয়ে আক্ষেপ?
মিঠুন নিয়মিতই এই প্রশ্ন শুনে আসছেন বলে জানিয়েছেন। তবে এই আফসোস কাটিয়ে ওঠার কথা বলেছেন তিনি।
"ইনিংস শুরু করা বা আগের দিনও ভাবনা থাকে কিভাবে তিন অঙ্কে যাবো, করতে পারলে অবশ্যই ভালো, আফসোসটা আছে, সামনে আরও ভালোভাবে চেষ্টা করবো, যাতে যেটা মিস করেছি এটা আর মিস না করি।"
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ
মোহাম্মদ মিঠুনের মতে, যে কোনো আসরে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো করা গুরুত্বপূর্ণ। একটা টোন সেট করা গুরুত্বপূর্ণ, এখন আমরা বিশ্বের অন্যতম অভিজ্ঞ একটা দল, অভিজ্ঞতা অবশ্যই বড় ব্যাপার। সবাই একত্রিত হয়ে খেললে ভালো কিছু অবশ্যই সম্ভব।
মিঠুনের দায়িত্ব সম্পর্কে বিশ্লেষকরা কী বলছেন?
মিঠুনের অভিজ্ঞতা কম মানছেন বিশ্লেষক ও কোচ নাজমুল আবেদীন ফাহিম। কিন্তু সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বলছে মিঠুন রান করতে পারে, 'এখন খেলাটাকে একটা লেভেলে নিয়ে আসতে হবে। যেহেতু সে রান করতে পারে এবং বাংলাদেশ দল চেষ্টা করছে ৩০০ এর বেশি রান তোলার, সে ক্ষেত্রে আরেকটু দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করতে হবে।'
ফাহিম বলছেন, মিঠুন নির্বাচকদের কখনো হতাশ করেনি, তবে তার এখন চ্যালেঞ্জ নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। মিঠুনের অতীত অভিজ্ঞতা আছে চার-ছয় মারার, সেটা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরো বাড়াতে হবে। সূত্র: বিবিসি বাংলা
RP;_MohammadKayum