মাদারীপুরে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। নির্যাতিতাকে আহত অবস্থায় সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নির্যাতনের আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান চিকিৎসক। আর জেলা পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, এ ব্যাপারে আইনগত সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার।
স্থানীয়রা জানান, মাদারীপুর পুলিশ লাইনে কর্মরত পুলিশ সদস্য মোক্তার হোসেন শহরের টিবি ক্লিনিক সড়কের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। কিছুদিন আগে মোক্তার তার গর্ভবতী স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আসেন। বাসা খালি থাকায় রোববার রাতে প্রতিবেশী দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ঘরে ডেকে নেন। এ সময় দরজা বন্ধ করে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ধর্ষণে ব্যর্থ হলে মারধর শুরু করে মোক্তার। বিষয়টি টের পেয়ে বাইরে থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় এলাকাবাসী। এ কথা কাউকে জানালে ওই শিক্ষার্থীকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় ওই পুলিশ সদস্য।
এক পর্যায়ে রাতেই ঘরের পেছনের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ওই শিক্ষার্থীকে বাহিরে ফেলে দেয় মোক্তার। এতে ওই স্কুলছাত্রীর ডান পা ভেঙ্গে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
এদিকে নির্যাতিতা স্কুলছাত্রীর আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডা. অখিল সরকার।
এ ঘটনায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনা প্রমাণিত হলে সর্বোর্চ্চ শাস্তির আশ্বাস দিয়েছেন মাদারীপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক। সূত্রে:- সময় টিভি