মোঃ শহিদুজ্জামান রনি: ৩১ জানুয়ারি সোমবার বিকেলে আলোচিত ও অপেক্ষিত সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী এর মৃত্যুদণ্ড ও বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, টেকনাফ থানার কনস্টেবল রুবেল শর্মা, এস আই সাগর দেব, এবং সিনহার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে করা মিথ্যা মামলার সাক্ষী, পুলিশের সোর্স নুরুল আমিন, নেজাম উদ্দিন,মোহাম্মদ আওয়াজ এর যাবজ্জীবন দেওয়া হয়, এবং খালাস দেওয়া হয় সাতজনকে বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের কনস্টেবল শাফানুর করিম, কামাল হোসেন, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ এস আই মোঃ লিটন মিয়া ও এপিবিএন এর এসআই মোঃ শাহজাহান, কনস্টেবল মোঃ রাজীব ও মোঃ আব্দুল্লাহ কে। উল্লেখ্য ২০২০ সালের ৩১ জুলাই সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যাকাণ্ডের ৫ দিন পর ৫ আগস্ট ওসি প্রদীপ দাস, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন ফেরদৌস। ১৩ ডিসেম্বর র্যাব ১৫ মোঃ খায়রুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন কক্সবাজারের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার । ২০২১ সালের ২৭ জুন সব আসামির উপস্থিতিতে বিচারক আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। সিনহার বোন শারমিন ফেরদৌসের সাক্ষ্য গ্রহণের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু হয় ২৩ আগস্ট, এই মামলার ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৯ জন প্রত্যক্ষদর্শী ও ৬৫ সাক্ষী নিয়ে রায় দেয় আদালত। মামলার রায় শুনে সিনহার বোন শারমিন ফেরদৌস সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে দিন এই রায় কার্যকর হবে সেদিন পুরো সন্তুষ্ট হবো। ওসি প্রদীপ এর আজকে রায়ের দিন ঘোষণা হওয়াতে ওসি প্রদীপ এর ফাঁসির দাবিতে আদালতের বাইরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করে হয়।