সিদ্ধিরগঞ্জে নিহত হওয়ার এক মাস পর আদালতের নির্দেশে কবরস্থান থেকে সালমা আক্তার মনি (২৮) নামে লাশ উত্তোলন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি (সিদ্ধিরগঞ্জ রাজস্ব) রেজা গোলাম মাসুম প্রধান উপস্থিতিতে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল বাগপাড়া কবরস্থান থেকে ঐ গৃহবধুর লাশ উত্তোলন করা হয়। গত ৭ আগষ্ট গোদনাইল ২নং বারৈইপাড়া স্বামীর বাড়িতে সালমা আক্তার মনি নিহত হয়। পরে মনির আত্মীয় স্বজনদের না জানিয়ে তরিগরি করে লাশ দাফন করে ফেলে স্বামীর বাড়ির লোকজন।পরে এ ঘটনায় নিহতের মনির বোন জয়া লায়লা বাদী হয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এ নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ বিধান আদালতে মামলা (নং-২১৫/২০ইং) দায়ের করলে শুনানী শেষে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে।মামলার বাদী নিহত সালমা আক্তার মনির বোন জয়া লায়লা অভিযোগ করে জানান, ২০০৯ সালে তার বোনের সাথে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল ২নং বারৈইপাড়াস্থ সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাহফুজুর রহমান (৩২) এর বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকেই মনির স্বামী যৌতুকের জন্য মারধর ও মানসিক চাপ প্রয়োগ করতো। ঘটনার দিন মনির স্বামী মাহফুজুর রহমানের সাথে মনি অনেক ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে মনিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ফেলে স্বামী মাহফুজুর রহমান ও তার শাশুড়ী আলেকজান। পরে মনির আত্মীয় স্বজনদের না জানিয়ে তরিগরি করে লাশ দাফন করে ফেলে স্বামীর বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় নিহতের মনির বোন জয়া লায়লা বাদী হয়ে স্বামী ও শাশুড়ী বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এ নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ বিধান আদালতে মামলা (নং-২১৫/২০ইং) দায়ের করলে শুনানী শেষে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেন পিবিআইকে।মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ইন্সপেক্টর মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, আদালতের আদেশে আমরা কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেছি। তা ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই আমরা পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।